“পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট দিতে পাইনি। এবার ভোট দিতে পারবো তো”? প্রচারে বেরিয়ে এমনই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হল বীরভূম লোকসভার বিজেপি প্রার্থী দুধকুমার মণ্ডলকে। একই সঙ্গে বিজেপি প্রার্থীর কাছে গ্রামে অনুন্নয়নের যন্ত্রণাও তুলে ধরলেন গ্রামের মানুষ। উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি না দিলেও ভোটাধিকার প্রয়োগের আশ্বাস দিয়েছেন দুধকুমারবাবু।
বুধবার সকাল থেকেই রামপুরহাট বিধানসভার বিভিন্ন গ্রামে প্রচার সারেন বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দুধকুমার মণ্ডল। সকালে তারাপীঠ সংলগ্ন কবিচন্দ্রপুর গ্রাম থেকে প্রচার শুরু করেন। সেখান থেকে কামদেবপুর, ন’পাড়া, জুনিদপুর, চকআটলা, আটলা গ্রামের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার সারেন। ন’পাড়া গ্রামে কর্মী সমর্থকদের নিয়ে গরুর গাড়িতে চরে প্রচার করেন বিজেপি প্রার্থী দুধকুমার মণ্ডল। এরপর পৌঁছে যান জুনিদপুর গ্রামে। গ্রামে পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা দুই ভাই প্রশান্ত ও বিকাশ মণ্ডলরা বলেন, “একটি ঘরের মধ্যে দুই ভাই রয়েছি। তবুও সরকারি প্রকল্পের ঘর পায়নি। এলাকায় পানীয় জল বলতে চাপা কল। তাও অকেজো। ফলে টাইম কলের উপর নির্ভর করতে হয়। রাস্তাঘাট অনুন্নত। বর্ষায় প্রচণ্ড কষ্ট হয়। আর সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট দিতে পারিনি”। উন্নয়ন নিয়ে কোন প্রতিশ্রুতি দেননি দুধকুমারবাবু। তবে তিনি আশ্বস্ত করেন এবার ভোট দিতে পারবেন। এরপরেই শাসক দলকে কটাক্ষ করে বিজেপি প্রার্থী বলেন, “যেখানেই যাচ্ছি অনুন্নয়ন এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট দিতে না পারার যন্ত্রণা মানুষ জানাচ্ছেন। কারণ পরাজয়ের ভয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীদের ভোটে দাঁড়াতে দেওয়া হয়নি। মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আমরা মানুষকে আশ্বস্ত করছি এবার তারা নিশ্চিন্তে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে”।
অনুব্রত মণ্ডল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “উনি অসামাজিক। তাই কখন চরাম চরাম আবার কখন নকুলদানা খাওয়াচ্ছেন। আমরা সর্বদলীয় বৈঠকে কমিশনের কাছে আবেদন করব উনার নকুলদানা কিসের ইঙ্গিত বহন করে তা খতিয়ে দেখা হোক। তবে বীরভূমের মানুষ আর তাঁকে পছন্দ করে না। তাঁর হুমকির জবাব মানুষ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। এবার বীরভূম কেন্দ্রে তাদের প্রার্থীকে আর জেতাতে পারবে না এটা নিশ্চিত”।
এদিকে এদিন রামপুরহাট বিধানসভার দখলবাটি গ্রামে প্রচারের ফাঁকে টোটোর চালকের আসনে বসেন তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়। এরপর যান একই বিধানসভার ভাটিনা গ্রামে। সেখানে আদিবাসীদের নাচে পা মেলান তিনি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তারা সরকারের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে পুনরায় ভোট দেওয়ার আবেদন জানান। শতাব্দী বলেন, “আমাকে বিশ্বাস করে দুবার জিতিয়েছেন। এবারও আপনারা সেই বিশ্বাস আমার প্রতি রাখবেন আশা করি”।