কারোও বিরুদ্ধে কোন কুৎসা নয়, হাওড়ার মানুষ আমাকে আর্শীবাদ করা মানে নরেন্দ্র মোদির হাত শক্ত করা। বুধবার সকালে তার নির্বাচনী প্রচারের প্রথম দিনে হাওড়ায় এসে এই কথা বলেন বিজেপির হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী বিশিষ্ট সাংবাদিক রন্তিদেব সেনগুপ্ত।
মঙ্গলবার বিকেলে দলের তরফে রন্তিদেব সেনগুপ্তকে হাওড়া লোকসভা আসনে প্রার্থী ঘোষণার পর বুধবার সকালে হাওড়ার শীতলা মন্দিরে পূজা দিয়ে তার প্রচার শুরু করেন বিজেপি প্রার্থী। এদিন সকালে প্রথমে তিনি পঞ্চাননতলার বিজেপির সদর কার্যালয়ে যান। সেখানে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে একটি বৈঠক করার পরে ড: শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মূর্তিতে মাল্যদান করেন রন্তিদেব সেনগুপ্ত। পরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে পঞ্চাননতলা রোড দেশপ্রাণ শাসমল রোড ধরে হেঁটে প্রচার শুরু করেন বিজেপি প্রার্থী।
এদিন তিনি বলেন, গত ৭/৮বছর ধরে এই রাজ্যের গণতন্ত্র বিপন্ন, শিক্ষা আইনশৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার পাশাপাশি বিরোধী কর্মীদের কোন মর্যাদা দেওয়া হয়নি। পশ্চিমবঙ্গ আমাদের কাছে গর্বের জায়গা ছিল আর এই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যেই আমার হাওড়ায় আসা। বুধবার থেকে হাওড়ায় প্রচার শুরু করলেও বৃহস্পতিবার থেকে পুরোমাত্রায় প্রচারে নামার কথা জানান রন্তিদেব সেনগুপ্ত। এদিন তিনি বলেন, ভোটের ফলাফল যাই হোক না কেন হাওড়ার মানুষ সবসময় আমাকে পাবেন। আমাকে হাওড়ার গৌরব ফিরিয়ে আনতে হবে। বিজেপি প্রার্থীর দাবি কনোও ব্যক্তি বিশেষের বিরুদ্ধে আমার লড়াই নয়, এটা আমার কাছে আর্দশের লড়াই, একটা মতাদর্শের লড়াই। রন্তিদেব সেনগুপ্তের দাবি, এখানে আমার মূল প্রতিদ্বন্দী তৃণমূল কারণ সিপিএম এবং কংগ্রেস এই মূহূর্তে রাজ্যে অবান্তর। হাওড়ায় জলের সমস্যা রয়েছে, শিল্পাঞ্চল নষ্ট হয়েছে, এই সমস্যাগুলি মেটানোর চেষ্টা করার আশ্বাস দেন বিজেপি প্রার্থী। সাংসদ হিসাবে প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিশ্রুতি পালন সর্ম্পকে তার বক্তব্য, এটা হাওড়ার মানুষ বিচার করবেন। প্রচারে দলীয় নেতৃত্বের আসা নিয়ে রন্তিদেব সেনগুপ্তর বক্তব্য এটা জেলা নেতৃত্ব ঠিক করবে।