জার্মানি (Germany) তে একজনের থেকে ৩ জনের, ৩ জনের থেকে প্রথম স্টেপে ২৭ জনের মধ্যে, দ্বিতীয় স্টেপে ২৭ জনের থেকে ১৯,৬৮৩ জনের ছড়াতে যে সময় লাগে, উপমহাদেশে তার চেয়ে কম সময়ে বেশি লোকের মধ্যে ছড়াবার কথা। উপমহাদেশে এক জনের থেকে ৩ জন নয়, আমার অনুমান ২০ জনের ছড়ায়! ওটা ১০ বা ২৫ ও হতে পারে! কাজেই যদি একজন থেকে ২০ জনের মধ্যে ছড়ায় তা হলে পরের স্টেপে ৮০০০ জনের মধ্যে আর দ্বিতীয় ধাপে ৫১২ ০০০ ০০০ ০০০ এর মধ্যে ছড়াবে অংকের নিয়মে। সংখ্যা কম বেশি হতেই পারে!
কাজেই যদি বিজ্ঞানের নিয়মে উপমহাদেশে ছড়াবার চান্স থাকে, যা নিরপেক্ষ জ্ঞানী ভাইরাস এক্সপার্ট রা সঠিক ভাবে বলতে পারে, যদি এ নিয়ে পূর্বে জরিপ করে থাকে, যদি তাদের কে সরকার সত্য বলার অধিকার দেয়, তা হলেই সঠিক ভাবে জানবেন। তবে ইউরোপের (Europe) মত ১৫-২১ দিনের জন্য বাড়ি ঘর থেকে জনগণের বের হওয়া বন্ধ করে দেয়া উচিত! যাতে ওই সময়ের মধ্যে যাদের হয়েছে, তাদের কে এ আলাদা করা যায় ও নতুন করে না ছড়ায়! সিস্টেম রিলেভেন্ট ব্যবসা চালু থাক। যেমন মুদি দোকান, সবজি দোকান, ওষুধ এর দোকান বা ব্যাঙ্ক! ও সেই সব দ্রব্যের ডেলিভারি। বাকি সব বন্ধ হোক! সরকার গরিব দের দেখুক। আর যারা এখন কাজে যাবেনা, পরে ছুটি না নিয়ে কাজ করে পুষিয়ে দেবে।
ডাক্তার বা মিডিয়া বা জনগণ ধরে নিয়েছে যে জার্মানির নিয়ম ইন্ডিয়া বাংলদেশে প্রযোজ্য। না সেটা নয়! এই কারণেই রাশিয়া (Russia) র বা ইউরোপের (Europe) কমুনিজম বা আরবের ধর্ম ইন্ডিয়া তে প্রযোজ্য নয় ও সফল হয়না। কমুনিজম্ব ধর্ম নিয়ে আজ আর লিখবোনা, নিজেরাই চিন্তা করুন।
জার্মানি (Germany) তে প্রায় ৭০% মানুষ প্রাইভেট গাড়িতে যাওয়া আসা করে। সর্বত্র পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। বাস ট্রেন রাস্তায় ধাক্কাধাক্কি করে চলাফেরা করেনা।কেহ কারো গায়ে লাগিয়ে দাঁড়ায় না। মানুষ স্বাস্থ্য সচেতন। নিয়মিত ম্যাক্স মানুষ শরীর চর্চা করে, কম ভেজাল এর সঠিক খাবার সঠিক সময়ে খায়. লোক নিয়মিত ডাক্তার খানা গিয়ে চেক আপ করে. কার কি রোগ আছে, কেন হয়েছে জানে।ওষুধ খায়। প্রিভেনশন মানে রোগ যাতে না হয়, তার নিয়ম জানে ও মানে। মুরু মুড়কির মত এন্টিবায়োটিক খেয়ে শরীরের বন্ধু ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলেনা।
উপমহাদেশে ৯৮% মানুষ পাবলিক ট্রান্সপোর্টে গাদাগাদি করে যাতায়াত করে। পরিষ্কার পরিচ্ছন নয় কোথাও! বাড়িতেও গাদাগাদি করে থাকে! মানুষ স্বাস্থ্য সচেতন নয়, ম্যাক্স নাগরিকের কার কি রোগ আছে, জানেনা, কি করে প্রিভেনশন করতে হয় জানেনা! এন্টিবায়োটিক গাদা গাদা খেয়ে শরীরের বন্ধু ব্যাক্টেরিয়া গুলো মেরে ফেলেছে, তাই শরীরে অনেক কিছুর ঘাটতি। ইমিউন পাওয়ার কম! বিবাহিত রাই একমাত্র রাতে কয়েক মিনিটের জন্য স্পোর্ট করে মাঝে মাঝে! ডেইলি এক কিলোমিটার ও ১০% নাগরিক শহরে হাঁটে কি?হাঁটার সুযোগ নেই! আর বিশেষ করে মডার্ন ইন্ডিয়ান দেড় অনেকেই প্রচুর কড়া মদ খায়! গড় পরতা ভেজাল বেশি খায়! শহরের বায়ু দূষিত অনেক গুন্ বেশি। এদের স্ট্রেস বেশি। তাই ইউরোপের বা চীনের চেয়ে তুলনামূলক ডিয়াবেটিক হার্ট ও ফুসফুস কিডনির রুগীর সংখ্যা বেশি। এদের গায়ে শক্তি কম। মনোবল ও কম! টাকা খরচের ভয়ে চিকিৎসকের কাছে যাবেনা, আর গেলেও ডাক্তার রোগ ধরতে চায়না বা পারেনা! জাঙ্ক ফুড ( সিঙ্গারা, টেলি ভাজা, নুডুলস, পরোটা ,চানাচুর, লুচি।আসলেই বেশি খায়। রেয়ার ভিটামিন সমৃদ্ধ ফল খায় ! খাবারে বৈচিত্র নেই। কার্বোহাইড্রেট ম্যাক্স ৭০% এর জায়গায় ৯০% খায় .
সেই কারণে যদি দুর্ভাগ্য বশত করোনা (Corona) ছড়িয়ে পরে, ক্ষয়ক্ষতি ইন্ডিয়া (India) উপমহাদেশে বেশিই হবে!
তবে করোনা (Corona) জন্মবৃদ্ধির হার তাপমাত্রা ও বাতাসে আদ্রতার উপর নির্ভর করে। তাই যদি বেশি আদ্রতা ও বেশি তাপে না ছড়ায়, শীত কালে কিন্তু অনেক জায়গায় ছড়াবার সুযোগ আছে. তা ছাড়া করোনা মিউটেশন করে কতবার জীন পরিবর্তন করে সব পরিবেশে বেবি জন্ম দিতে পারার ক্ষমতা অর্জন করবে, তা কেহ এখনো জানেনা। আর কি কি ফ্যাক্টর আছে, জানিনা।
কাজেই আজ থেকে ডেইলি ২০ মিনিট প্রাণায়াম ও ২ কিমি দৌড়িয়ে বা ৪ কিমি জোরে হেটে স্ট্রেস কমান, ফুসফুসের বায়ু ধারণ করার ক্ষমতা বাড়ান। তা হলে করোনা আপনাকে কাবু করতে পারবেনা। স্বাস্থ্যকর খাবার সঠিক সময়ে খান. ঘুমাবার ৩ ঘন্টা পূর্বে খান।
মৃণাল মজুমদার (Mrinal Majumdar)