করোনা আতঙ্কে বন্ধ করে দেওয়া হল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়৷ ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত ক্লাস,পরীক্ষা ও হোস্টেল বন্ধ রাখার সিদান্ত নিল বিশ্বভারতী৷
শুক্রবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে৷ সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে,করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে, আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বিশ্বভারতী সমস্ত ক্লাস বন্ধ থাকবে৷ পাশাপাশি বন্ধ থাকবে সমস্ত অনুষ্ঠান৷ এছাড়া সমস্ত হোস্টেল৷ ৩১ মার্চের পর পরবর্তী নির্দেশিকা জানানো হবে৷
করোনাভাইরাস সম্পর্কে সাবধানতা অবলম্বনের জন্য গত ৫ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের এক নির্দেশিকা আসে। তারপর ১৩ মার্চ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ জরুরি সভা ডাকে। সেখানে এই সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
শুক্রবারের বিশ্বভারতী সভায় উপস্থিত ছিলেন সমস্ত ভবনের অধ্যক্ষ, কর্মসচিব, পরীক্ষা বিভাগের আধিকারিক, ও পিয়ারসন মেমোরিয়াল হাসপাতালের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, উর্ধ্বতন স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। উপাচার্যের সভাপতিত্বে এই সভায় সর্বসম্মতভাবে ঠিক হয় যে, চলতি বছরের ১৪ মার্চ থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত যে স্কুল পরীক্ষা নির্ধারিত ছিল তা পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি জারি না করা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে৷
অন্যদিকে কলকাতার স্কুলেও বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। কোনও দরকার ছাড়া কোনও পড়ুয়ার স্কুলে আসার প্রয়োজন নেই, অভিভাবকদের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দিল সাউথ পয়েন্ট কতৃপক্ষ। করোনা আতঙ্কে কার্যত নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত।
সাউথ পয়েন্ট স্কুলে ক্লাস নার্সারি থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত ১২ হাজার পড়ুয়া রয়েছে। এই মুহূর্তে বিভিন্ন ক্লাসের পড়ূয়াদের রেজাল্ট দেওয়া থেকে একগুচ্ছ কর্মসূচি ছিল। সমস্ত অনুষ্ঠান বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে খুব প্রয়োজন ছাড়া কাউকে স্কুলে আসার প্রয়োজন নেই বলেও সাউথ পয়েন্টের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এর পাশাপাশি একগুচ্ছ সতর্কতামূলক কর্মসূচিও নেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে ওয়ার্কশপ করানো হয়। আগামীদিনে আরও কয়েকটি ওয়ার্কশপ করার কথা ছিল। কিন্তু সেই সমস্ত অনুষ্ঠান আপাতত বাতিল করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে ভারতে ফের আরও একজনের করোনায় মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা যাচ্ছে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। ৬৯ বছর বয়সি বৃদ্ধা দিল্লির জনকপুরির বাসিন্দা।
জানা যাচ্ছে, বৃদ্ধার ছেলে কিছুদিন আগেই সুইৎজারল্যান্ড থেকে এসেছিলেন। তিনিও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। তাঁর শরীর থেকেই সংক্রমিত হয়েছে বৃদ্ধার শরীরে। এমনই মনে করছেন চিকিৎসকরা।
বৃহস্পতিবার কর্ণাটকে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর বয়স ৭৬ বছর। তারপরেই আজ শুক্রবার আরও একজনের মৃত্যু হওয়ায় উদ্বীগ্ন সারা দেশের মানুষ।
কর্ণাটকের যে ব্যাক্তির মৃত্যু হয়েছে তিনি কিছুদিন আগেই সৌদি আরব থেকে ফিরেছিলেন। ব্যক্তিকে পরীক্ষা করলে তাঁর শরীরে কোভিড ১৯ ভাইরাসটি ধরা পড়েছে এমনটাই জানিয়েছেন কর্ণাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী।