রাজ্যসভার আসন নিয়ে বিবাদের জেরে কংগ্রেস ছেড়েছেন দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত সৈনিক জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া (Jyotiraditya Scindia)। যার ফল হিসেবে মধ্যপ্রদেশের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে আগামী সময় নিজেদের শাসন হারাতে পারে কংগ্রেস। তবে ভারতের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দলের বিপদ এতেই কাটছে না। এবার নতুন করে হরিয়ানা (Haryana) কংগ্রেসের অন্দরে ফাটল দেখা গিয়েছে। ঘটনা হচ্ছে, আসন্ন রাজ্যসভা নির্বাচনে হরিয়ানা (Haryana) থেকে একটি আসন পাওয়ার কথা কংগ্রেসের (Congress)। কিন্তু সেখান থেকে কাকে মনোনীত করা হবে তা নিয়ে বিবাদ বেঁধেছে। এদিন হরিয়ানার (Haryana) বরিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিং হুডা (Bhupendra Singh Hooda) নিজের ২৪ বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে শক্তি প্রদর্শন করে বুঝিয়ে দেন, তাঁকে বাদ দিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হলে ভুগতে হবে কংগ্রেসকে।
আপাতত হরিয়ানা (Haryana) থেকে কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে কুমারী শৈলজা (Shailaja) রাজ্যসভায় রয়েছেন। একই সঙ্গে রাজ্য কংগ্রেস সভানেত্রীও তিনি। যা নিয়ে ভূপেন্দ্র সিং হুডা খুব একটা সন্তুষ্ট নন। তাঁর সাফ দাবি, ‘যদি কুমারী শৈলজাকেই ফের রাজ্যসভায় পাঠাতে হয় তবে দীপেন্দ্র সিং হুডাকে কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হোক। আর সেটা না হলে দীপেন্দ্র হুডাকে রাজ্যসভায় পাঠিয়ে কুমারী শৈলজাকে কংগ্রেস সভাপতি রেখে দেওয়া হোক।’ খুবই স্পষ্টভাবে নিজের ছেলেকেই রাজ্য কংগ্রেস সভাপতির পদে দেখতে চান তিনি। সেটা হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সাফ করে দিয়েছেন।
ভূপেন্দ্রর দাবি অবশ্য এতেই ফুরিয়ে যায়নি। কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরযেওয়ালাকে (Randeep Surjewala) যাতে কোনও ভাবেই রাজ্যসভায় না পাঠানো হয়। তাহলেই বেঁকে বসবেন তিনি। হুডার এহেন শর্তে কংগ্রেসের প্রথম সারির দুই নেতা-নেত্রীই চাপে পড়ে গিয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দল সুবিধাজনক অবস্থায় নেই বুঝেই এক ঢিলে দুই পাখি মেরেছেন হরিয়ানার (Haryana) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আচমকা এহেন বেঁকে বসার কারণ, হরিয়ানায় কংগ্রেসের মোট ৩১ বিধায়কের মধ্যে বেশিরভাগ হুডার শিবিরে রয়েছেন। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া কংগ্রেস ছাড়ার পর রাজ্যসভা নির্বাচনের সমীকরণ পুরোপুরি ঘেঁটে গিয়েছে। আর সেই সুযোগেই নিজেদের আখের গোছাতে চাইছেন কংগ্রেসের (Congress) বরিষ্ঠ নেতারা।