শেষ কয়েক দিন ধরেই মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) কমলনাথ (Kamalnath) সরকারের সংকট শুরু হয়েছে। সরকারের তরফের ১৭ জন বিধায়ক বেপাত্তা ছিল। তারা সকলেই জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ঘনিষ্ঠ। এরপর হোলির রাতে ২২ জন মন্ত্রী ইস্তফা দেন। আর তারপরই জানা যায় জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া দিল্লিতে। জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। তাহলে কি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন জ্যোতিরাদিত্য?
মারাত্মক জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) রাজনীতিতে। চরম সংকটে পড়েছে কংগ্রেসের কমলনাথের সরকার। হোলির দিন মধ্যরাতে ২২ জন মন্ত্রী ইস্তফা দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে সরকার টিকিয়ে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছে কমলনাথ। কিন্তু মধ্যপ্রদেশে উপস্থিত নেই জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। এদিকে সোমবারই ভোপাল থেকে পাঁচ মন্ত্রীসহ কংগ্রেসের ১৭ জন বিধায়ক উধাও হয়ে গিয়েছিল। তারা সকলেই সিন্ধিয়া ঘনিষ্ট। গুঞ্জন এই ১৭ জন বিক্ষুব্ধ বিধায়ককে নিয়ে সিন্ধিয়া বিজেপিতে (BJP) যোগ দিচ্ছেন।
১৭ জন বিধায়ক যদি সমর্থন তুলে নেন তাহলে কমলনাথের সরকার টিকিয়ে রাখা অসম্ভব হয়ে যাবে। সেটা বুঝতে পেরে সিন্ধিয়ায়া ও তার অনুগত বিধায়কদের বাগে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কমলনাথ। কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং (Digvijay Singh) সোমবার রাতে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, দলের তরফে সিন্ধিয়াকে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছে। তাদেরকে জানানো হয়েছে সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। সেই জন্য তিনি কথা বলতে পারবেন না। এরপরে দিগ্বিজয় সিং বলেন, “যারা জনাদেশকে অসম্মান করবে তাদের যোগ্য জবাব দেবে মধ্যপ্রদেশের মানুষ। যারা সত্যি কারের কংগ্রেস, তারা কখনোই দল ছেড়ে যাবেন না।”
বিজেপির (BJP) একটি সূত্রের দাবি, বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের নিয়ে বিজেপিতে (BJP) যোগ দিতে চলেছেন সিন্ধিয়া। সোমবার রাতেই প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) সঙ্গে তিনি দেখা করেছেন বলে দাবি ওই সূত্রের। মঙ্গলবার মাধবরাও সিন্ধিয়া জন্মবার্ষিকী। তাঁকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন বিজেপি নেতা শিবরাজ সিং চৌহান (Shivraj Singh Chauhan)। তা কিছু পরেই টুইট করে মাধবরাও সিন্ধিয়াকে শ্রদ্ধা জানিয়েছে কংগ্রেস। মধ্যপ্রদেশের রাজনীতিতে এই মুহুর্তের সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টর জ্যোতিরাদিত্য। তাই তাকে নিজেদের দলে টানতে পারলে সরকার গঠন করতে পারবে বিজেপিও। কিন্তু বিজেপি দাবি করেছে তারা দল ভাঙানোতে আগ্রহী নয়। এদিকে কংগ্রেস মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে যাতে কোনোভাবেই হাতছাড়া না হয়। ফলে এখন জ্যোতিরাদিত্যের উপরেই কমলনাথ সরকারের টিকে থাকা।