জল্পনা চলছিল কিছুদিন ধরেই। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার সত্যিই বিজেপিতে যোগ দিলেন বলিউড ছবির অতীত দিনের অভিনেত্রী জয়া প্রদা। অভিনেত্রী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উন্নয়নমূলক কাজকর্ম দেখে তিনি মুগ্ধ। তাই বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একটি সূত্রে খবর, তাঁকে উত্তরপ্রদেশের রামপুরে সমাজবাদী পার্টির আজম খানের বিরুদ্ধে প্রার্থী করা হতে পারে।
একসময় জয়া সমাজবাদী পার্টির সদস্য ছিলেন। তখন আজম খানের সঙ্গে তাঁর ছিল প্রবল শত্রুতা। রাজনীতিতে অভিনেত্রী নতুন নন। ১৯৯৪ সালে তেলুগু দেশম পার্টির সদস্য হিসাবে তাঁর রাজনীতির কেরিয়ার শুরু। তখন দলের নেতা ছিলেন এন টি রামারাও। জয়া অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে রাজ্যসভার সদস্যও হয়েছিলেন। পরে টিডিপির শীর্ষ নেতা চন্দ্রবাবু নায়ডুর সঙ্গে তাঁর মতবিরোধ হয়। তিনি তেলুগু দেশম ছেড়ে মুলায়ম সিং যাদবের সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দেন। সপায় তিনি বরাবর অমর সিং-এর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন। সপার প্রার্থী হিসাবে তিনি ২০০৪ ও ২০০৯ সালে রামপুর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং জেতেন।
সমাজবাদী পার্টিতে অমর সিংকে নিয়ে বিতর্ক শুরু হলে জয়াও কোণঠাসা হয়ে পড়েন। তিনি অমর সিং-এর পক্ষে ছিলেন। অমর সিং ২০১২ সালে নিজের দল তৈরি করেন। তারপর নির্বাচনেও লড়েছেন। কিন্তু বিশেষ সাফল্য পাননি। ২০১৪ সালে জয়া রাষ্ট্রীয় লোক দলে যোগ দেন। সেবার বিজনোর থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু ভোটের ফল বেরোতে দেখা যায়, চতুর্থ হয়েছেন।
৫৬ বছর বয়সী অভিনেত্রী এদিন বলেন, আমার জীবনের এক পরম ক্ষণ এসেছে। আমি এখন এক জাতীয় দলের অংশ। এই দলের নেতারা জাতীয় নিরাপত্তার মতো বিষয়ে দেশকে নেতৃত্ব দেন। প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে কাজ করতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করছি।
গত মাসে মুম্বইতে আজম খান সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি যখন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ ছিলাম, তখনও আজম খান আমাকে নানাভাবে হেনস্থা করেছেন। তিনি আমার ওপরে অ্যাসিড ছোঁড়ার চেষ্টা করেছিলেন। আমি জানতাম না পরের দিন বেঁচে থাকব কিনা। বাড়ি থেকে বেরনোর সময় মাকে বলতাম, ফিরব কিনা জানি না। আমি সেই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে এসেছি।
জয়া বিজেপিতে যোগ দিলেও অমর সিং এখনও আছেন অজিত সিং-এর রাষ্ট্রীয় লোক দলে। তবে সম্প্রতি তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রতি সমর্থনের কথা জানিয়েছেন। মোদী ‘ম্যয় ভি চৌকিদার’ ক্যাম্পেন শুরু করার পরে তিনিও নিজের টুইটার টাইটেলে চৌকিদার শব্দটি যোগ করেছেন।