জলপাইগুড়ি কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী চিকিৎসক জয়ন্ত রায়। তিনি উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে চাকরি করেন। দলীয় সূত্রে খবর, তিনি চাকরি থেকে ইস্তফা দিলেও এখন ইস্তফাপত্র গ্রহন করেনি রাজ্য সরকার। তার জেরে জলপাইগুড়ি লোকসভা প্রার্থী বদলের সম্ভবনা রয়েছে বলে সুত্রের খবর। দ্বিতীয় প্রার্থী প্রস্তুত রয়েছে। জলপাইগুড়িতে বিজেপি নেতা মুকুল রায় এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই কথা জানালেন। আজ তিনি শহরের ক্লাব রোডে একটি বেসরকারি হোটেলে জেলার বিজেপি নেতাদের নিয়ে বৈঠক করলেন। বৈঠকে ছিলেন জেলা সভাপতি দেবাশিষ চক্রবর্তী, বিজেপি উত্তরবঙ্গের যুগ্ন আহ্বায়ক দীপেন পারমাণিক সহ অন্যান্যরা।
মুকুল রায় জানালেন, জলপাইগুড়িতে বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত রায়। অনেকেই ড্যামি প্রার্থী একজন রাখেন, তাই আমাদের আরও একজন প্রার্থী রাখা হয়েছে। কোনও সময় কোনও সমস্যা হলে অপরজন মনোনয়ন পত্র জমা দেবেন। রাজ্য সরকার অগণতান্ত্রিক সরকার। আমরা চাপ দেব রাজ্য সরকারকে, ইস্তফা পত্র গ্রহন করার বিষয়ে।
জলপাইগুড়ির বারোপাটিয়া এলাকায় অভিযোগ উঠেছে, ভোটারদের কাছ থেকে ভোটার কার্ড কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। কৃষ্ণ দাসের নাম করে বলেন পঞ্চায়েত ভোটের মত তিনি সন্ত্রাস চালাতে পারবে না। তার নামে নির্বাচন কমিশন দফতরে অভিযোগ করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গের আটটি লোকসভায়ই জয়ী হব আমরা। তিনি জোর দিয়ে বলেন, দার্জিলিংয়ে প্রচুর ভোটে জয়ী হব আমরা। কেন্দ্রীয় বাহিনী জলপাইগুড়িতে দু চার দিনের মধ্যে চলে আসবে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ফোর্সদের পুলিশ অবজারভার দেখাশোনা করবে। রাজ্য পুলিশ কেন্দ্রীয় বাহিনীকে এলাকায় নিয়ে যাবে না।
তিনি বলেন, ২০১৯—এ রাজ্যের তৃণমূল সরকার চলে যাবে। প্রচুর তৃণমূল নেতা আমাদের সাথে যোগাযোগ রেখেছে। তবে, এখনই নাম বলতে চাই না।
বিজেপি সুত্রে জানা গেছে, এদিন উত্তরবঙ্গের যুগ্ন আহ্বায়ক দীপেন পারমাণিক জেলা শাসক দফতরে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন।