শুক্রবার আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের পশ্চিমাঞ্চলে একটি রাজনৈতিক সমাবেশ চলাকালীন গুলিবর্ষণে কমপক্ষে ৩২ জন নিহত হয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তালিবানদের মধ্যে দোহাচুক্তির পর এটিই সবচেয়ে বড় মাপের সন্ত্রাসবাদী আক্রমণ। এই হামলাটি আফগান রাজধানীর অত্যন্ত কড়া সুরক্ষিত এলাকায় নিরাপত্তার অভাবকে বে আবরু করে দিয়েছে। ২৯ ফেব্রুয়ারি আমেরিকা ও তালিবানদের মধ্যে চুক্তি অনুসারে আমেরিকা ১৪ মাসের মধ্যে আফগানিস্তান ক্রমশ সেনাপ্রত্যাহার করবে ।
সেই প্রক্রিয়া শুরুর সময় এই আক্রমণ এটাই প্রমাণ করে দিলো চুক্তির শর্ত পালনে তালিবান দের পক্ষ থেকে সদিচ্ছার অভাব আছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র নসরত রহিমি বলেছেন, নিহতদের মধ্যে মহিলা ও শিশুরাও রয়েছেন এবং ৮১ জন আহত হয়েছেন। তিনি বলেন, আফগান স্পেশাল ফোর্সেস আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে। হতাহতের পরিসংখ্যানগুলি পরিবর্তিত হতে পারে ।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কর্মকর্তা নিজামুদ্দিন জলিল মৃতের সংখ্যা কিছুটা বাড়িয়ে বলেছিলেন যে ৩২ জন নিহত হয়েছেন এবং ৮১ জন আহত হয়েছেন। তাতক্ষণিকভাবে এই হামলার দায় অস্বীকার করেছে তালিবানরা। হাজরা জনগোষ্ঠীর রাজনীতিবিদ আবদুল আলী মাজারীর স্মরণে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে এই হামলা চালানো হয়। এই সম্প্রদায়ের বেশিরভাগ মানুষ শিয়া ।