আগে থেকেই ঘোষণা করা হয়েছিল এবারের বসন্ত উৎসব উদযাপন হবে ৫ই মার্চ দুপুর ২টো | দোল উৎসবের আনন্দে মাতোয়ারা পড়ুয়াদের মধ্যে অশ্লীলতার ছোঁয়া | অভিযোগ অন্তত তাই | ছাত্রী ও ছাত্রদের পিঠ ও বুকে অশ্লীল শব্দ লেখা রঙের মাধ্যমে | লাল ও গোলাপী আবির দিয়ে | তা রাতের দিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হতেই দানা বাঁধে বিতর্ক | বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দোল উদযাপনে কীভাবে এমন অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করলেন পড়ুয়ারা ? কী করে চোখ এড়িয়ে গেল ক্যাম্পসের অত শিক্ষকেরা ? উঠছে নানা প্রশ্ন |
রোদ্দুর রায় নামে এক ইউটিউবার রবীন্দ্র সঙ্গীতকে বিকৃত করে নিজের চ্যানেলে পেশ করেন | আর তা খুবই সমাদরে গ্রহণ করেন তার লক্ষাধিক বাঙালি ফলোয়ার | সেই বিকৃত অশ্লীল ভাষাবন্ধ ব্যবহার করা গানের লাইনের তিনটি শব্দকে পৃথক পৃথক ভাবে ছাত্রী ও ছাত্রেরা লিখে ছবি তোলেন | সেই ছবি প্রাক্তনীদের চোখে পড়তেই তারা ক্ষোভ উগরে দেন | কর্তৃপক্ষের ভূমিকারও সমালোচনা করেন তারা | বিষয়টি আকারে বড় হলে কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসে | তারা বলেন , তাদের নজর এড়ায়নি | দ্রুত এই নিয়ে তদন্ত করবেন তাঁরা | এই নিয়ে মুখ খোলেন উপাচার্যও | তিনি বলেন, আদৌ ছবিটি এই বছরের কিনা তা নিয়েও তদন্ত করা হবে? ক্যাম্পাসে তোলা হয়েছে কিনা তাও দেখতে হবে |
আদৌ তারা এখানকার পড়ুয়া কিনা খতিয়ে দেখতে হবে তাও | প্রসঙ্গত ডিসেম্বর মাসে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীর কলা ভবনে নন্দন মেলায় রোদ্দু রায়ের বিকৃত ভাবে গাওয়া গান গেয়ে একইভাবে বিতর্কের জন্ম হয়েছিল | বারবার কবিগুরু স্মৃতি বিজড়িত বাঙালি সংস্কৃতির পীঠস্থানে এমন ঘটনা ঘটার পরে প্রশ্ন উঠছে তবে কি নতুন প্রজন্মের মধ্যে রবীন্দ্র নাথের চেয় রোদ্দুর রায়ের মত বিকৃত মনস্ক লোকের চাহিদা বাড়ছে দিনে দিনে ?