অবশেষে সোশ্যাল মিডিয়া ছেড়ে চলে যাওয়ার জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেছেন যে তিনি তার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলি ছেড়ে যাচ্ছেন না। ৮ ই মার্চ আন্তর্জাতিক মহিলা দিবস উপলক্ষে তিনি তার অ্যাকাউন্টের ভার এমন মহিলাদের দেবেন যাদের কাজ এবং জীবন মানুষকে নিরন্তর অনুপ্রাণিত করছে। তিনি নিজেই টুইটার অ্যাকাউন্টে এ সম্পর্কে খোলাসা করেন। প্রধানমন্ত্রী টুইটারে লিখেছেন, ‘এই আন্তর্জাতিক নারী দিবসে আমি আমার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্টগুলি নারীদের হাতে তুলে দেব, যাদের জীবন এবং কর্ম আমাদের অনুপ্রেরণা দেয়। এটি তাদের লক্ষ লক্ষ মানুষের মধ্যে অনুপ্রেরণা জাগাতে সহায়তা করবে। আপনি কি এই জাতীয় মহিলা বা আপনি কি এইরকম অনুপ্রেরণামূলক মহিলার কথা জানেন? এই জাতীয় ঘটনা #SheInspiresUs (তিনি আমাদের অনুপ্রেরণা জোগান) হ্যাশট্যাগ দিয়ে শেয়ার করুন। ‘
প্রধানমন্ত্রী ১৬ ঘন্টা আগে বলেছিলেন যে তিনি এই রবিবার সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়ার পরিকল্পনা করছেন। তিনি সোমবার টুইটারে লিখেছেন, এই রবিবার আমি ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম এবং ইউটিউব সহ আমার সমস্ত সামাজিক মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলি মুলতুবি রাখার বিষয়ে বিবেচনা করছি। আমি আপনাকে এই সম্পর্কে তথ্য দিতে থাকবো ।
জনগণ প্রধানমন্ত্রীকে সোশ্যাল মিডিয়া না ছাড়ার আবেদন জানিয়েছিল, টুইটারে ট্রেন্ড ‘নো স্যার’প্রধানমন্ত্রী মোদীর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ছেড়ে যাওয়ার বিষয়টির খবর টুইটের কয়েক মিনিটের মধ্যেই, ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বহু মানুষ তাকে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের প্ল্যাটফর্ম এবং মাইক্রো-ব্লগিং সাইট টুইটারে ত্যাগ না যাওয়ার অনুরোধ করেছিলেন ।
তার টুইটটি প্রায় এক ঘণ্টার মধ্যে ২৬০০০ বার রিটুইট করা হয় এবং এই সময়ে প্রায় প্রতিটি দ্বিতীয় লোক এতে মন্তব্য করে কয়েক মিনিটের মধ্যেই ‘নো স্যার’ টুইটারে ট্রেন্ডিং শুরু করে এবং প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষনায় নেটিজেনরা হতবাক হয়ে যায় এবং কিছু লোক বিভ্রান্ত হয়। টুইটারে মোদীর পাঁচ কোটি তেত্রিশ লাখ ফলোয়ার রয়েছে ।
প্রধানমন্ত্রী মোদী সোশ্যাল মিডিয়া বিশেষত টুইটারে সক্রিয় রয়েছেন। টুইটারে মোদীর পাঁচ কোটি তেত্রিশ লাখ ফলোয়ার, ফেসবুকে চার কোটি ৪০ লাখ এবং ইনস্টাগ্রামে ত্রিশ কোটি ৫২ লাখ ফলোয়ার রয়েছে। এটি ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের টুইটার হ্যান্ডেলের ৩২ মিলিয়ন ফলোয়ার রয়েছে। টুইটারে মোদী হলেন প্রথম ভারতীয় যিনি পাঁচ কোটি অনুগামীর মাইলস্টোন পেরিয়ে গেছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই টুইট বার্তায় কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেছিলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমি আপনাকে অনুরোধ করছি যে ট্রোলের সেনাদের এই পরামর্শ দেওয়ার জন্য যারা আপনাকে প্রতি সেকেন্ডে আপনার নাম করে হুমকি দেন! আপনাকে ধন্যবাদ ভারতের নাগরিকদের পক্ষ থেকে । একই সঙ্গে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নয়, ঘৃণা ত্যাগ করুন ।