ওসমান গনির নেতৃত্বে তালিবান (Taliban) প্রশাসন যে আশঙ্কা করেছিলো, তাই সত্যি হতে চলেছে। চলতি বছরের ২২শে ফেব্রুয়ারি থেকে চলা সংঘর্ষবিরতি খতম করতে চলেছে। দোহা শান্তি চুক্তির (Doha peace agreement) জন্য এই সংঘর্ষবিরতি শুরু হয়। চুক্তি অনুযায়ী আফগানিস্তানে (Afghanistan) উপস্থিত আমেরিকান (American) সেনাদের ১৪ মাস ধরে ক্রমশ প্রত্যাহার করে নেবে ট্রাম্প প্রশাসন, এবং আফগানিস্তানের নির্বাচিত সরকারকে সমস্তরকম যুদ্ধের প্রশিক্ষণ ও অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে সাহায্য করবে তারা ।
চুক্তির পরে তালিবানদের মধ্যে দেখা যায় উৎসবের মেজাজ। আফগানিস্তানের (Afghanistan) বিভিন্ন জায়গায় উৎসব পালন করতে দেখা যায় তালিবানদের (Taliban)। সেইসব ছবিতে দেখা যায় পোস্টার ছাপিয়ে এই চুক্তিকে আমেরিকান (American) সৈন্যের পলায়ন তথা হার হিসেবে দেখানো হচ্ছে ।
সোমবার তালিবানদের (Taliban) তরফ থেকে জানানো হয় যে তারা আংশিক যুদ্ধবিরতি শেষ করার পাশাপাশি আফগান সুরক্ষা বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক অভিযান আবার শুরু করতে চলেছে। উগ্রপন্থী ও ওয়াশিংটনের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরের আগে ঘোষিত এইআংশিক যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ ।
তালিবান (Taliban) মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ (Jabihullah Mujahid) বলেছেন যে হিংসা কম করার সময় শেষ হয়েছে এবং আমাদের কার্য্যকলাপ যথারীতি চলবে। চুক্তি অনুসারে (ইউএস-তালিবান দোহা পিস ডিল ) আমাদের মুজাহিদিনরা বিদেশি বাহিনীকে আক্রমণ করবে না তবে কাবুল প্রশাসনের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য পাকিস্তান তালিবানদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার বৈঠকে নিয়ে এসেছিল, কারণ তারা তাদের মহল্লা থেকে আমেরিকান বাহিনীকে দ্রুত ফিরিয়ে দিতে চায়। কাতারের রাজধানী দোহায় মার্কিন-তালিবান আলোচনায় যোগ দিতে কয়েক মাস আগে পাকিস্তান তালিবান উপ-প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা বড়দারকে জেল থেকে মুক্তি দিয়েছে। এছাড়া চলতি বছরে হতে চলা আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দিকে তাকিয়েই তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে পেশ করা শর্ত হিসেবেই এই চুক্তি করে ট্রাম্প প্রশাসন বলে মত বিশেষজ্ঞদের ।