শরীরচর্চা কেবল শারীরিকভাবে কুশলে থাকার জন্য নয়, হিন্দু হিসাবে বেঁচেবর্তে থাকার জন্যও। শারীরিকভাবে কুশলে থাকলেই সে কেবল অকারণ-অন্যায্য হিংসাপূর্ণ আক্রমণ থেকে রেহাই পেতে পারেন, যে কোনো অভূতপূর্ব পরিস্থিতির সামনা করতে সক্ষম হন। অসুস্থ, কমজোরি শরীর নিয়ে মানুষ কেবল পালাতেই জানেন, মোকাবিলা করতে নয়। আর পালানোর জন্যও শরীরিক ফিটনেস দরকার হয়, নতুবা কুড়ি বছর পর একদিন দৌড়াতে গেলেও পড়ে যাবেন। প্রত্যেকে শরীরচর্চা করুন, শরীরচর্চায় উপদেশ দিন বড়-ছোটো সবাইকে। গ্রামের শহরের প্রতিটি হিন্দু ছেলে ও মেয়েকে শরীরচর্চা করতে বলুন। দিনে আধঘণ্টা থেকে পঁয়তাল্লিশ মিনিট মাঠে/ব্যায়ামের আখড়ায়/জিমন্যাসিয়ামে/খোলা ছাদে/প্রশস্ত বারান্দায়/ঘরের ফাঁকা জায়গায় কাটান ও উপযুক্তভাবে শরীর চর্চা করুন। শারীরশিক্ষার প্রশিক্ষকদের কাছে প্রয়োজনে জেনে নিন কীভাবে তা করবেন। আগামী দিনে শারীরিক প্রশিক্ষণের নিয়ে বহু যুবক-যুবতীরা স্ব-নিযুক্ত হতে সক্ষমও হবেন।
হিন্দু যুবক যুবতীরা লাঠি খেলুক, সাঁতার শিখুক, ঘোড়ায় চড়ুক, বন্দুক চালানো শিখুক। ক্যারাটে, কুস্তি শিখুক। অকারণে বল প্রয়োগ নয়। কিন্তু কেউ আক্রমণ করলে যেন লড়াই করে নিজেদের বাঁচাতে পারেন। ভয়ে কুণ্ঠিত হয়ে গাঁয়ের মেয়েরা পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে ঘরে বসে না থাকেন। মনে রাখবেন স্বামীজি বলেছেন, পৃথিবী একটি বৃহৎ জিমনেসিয়াম, এখানে আমরা আসি নিজেদের শক্তি সঞ্চয় করতে। কাজেই শক্তিধর হলেই কেবল অশুভ শক্তিকে পরাজিত করতে পারবেন। শক্তিধর হলেই কেবল ভয়ঙ্করী শক্তিকে হারাতে পারবেন। দিকে দিকে সনাতনী ব্যায়ামাগার, শরীর চর্চার আখড়া গড়ে উঠুক।
কচ