দিল্লির হিংসাত্মক ঘটনায় পাকিস্তানের মদত রয়েছে বলে মনে করছে গোয়েন্দা দপ্তর। গোয়েন্দাদের দাবি, এর পিছনে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এর মত রয়েছে। তাদের স্লিপার সেল এই হিংসাত্মক ঘটনায় জড়িত, এই সুযোগে ছড়ানো হচ্ছে জাল নোট। একটি সংবাদ মাধ্যমে এরকমই দাবি করা হয়েছে।
বালাকোটের এয়ারস্ট্রাইকের পর সেভাবে কোনো জবাব দিতে পারেনি ইসলামাবাদ। এরপর ৫ আগস্ট কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে ভারত। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেও ভারতের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক স্তরে কাউকে পাশে পায়নি পাকিস্তান। বরং ভারতের চাপে ধূসর তালিকায় পড়তে হয়েছে তাদের। ফলে রাগে ক্ষোভে ফুঁসছে পাকিস্তান। এরমধ্যে ২০১৯-র শেষ থেকে ভারতে সিএএ বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। লাগাতার এই আন্দোলনে দেশের একাধিক প্রান্ত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তারমধ্যে গত চারদিনে সিএএ বিরোধী ও সমর্থকদের সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় দিল্লিতে। কিন্তু এই মারাত্মক পরিস্থিতি তৈরির পেছনে রয়েছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। এমনটাই দাবি করা হয়েছে এক বেসরকারি সংবাদ মাধ্যমে।
বলা হয়েছে উত্তর পূর্ব দিল্লিতে যে একেরপর এক হিংসাত্মক ঘটনা ঘটে চলেছে তার পেছনে রয়েছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের স্লিপার সেলের মদত। বলা হচ্ছে, পাক গুপ্তচদের উস্কানিতেই এই হিংসাত্মক ঘটনাগুলি যে ঘটেছে তার প্রমাণ ইতিমধ্যেই এসেছে গোয়েন্দাদের হাতে।
দাবি করা হচ্ছে, পাকিস্তান প্রচুর পরিমাণে জাল নোট ছাপাচ্ছে। ভারতের নোটের ৯ টির মধ্যে ৭ টি বৈশিষ্ট্য তাদের করায়ত্ত হয়ে গেছে। আর সেই জাল নোট সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকছে। সেই জাল নোট নিয়ে ভারতে থাকা পাক স্লিপার সেল কাজ শুরু করেছে। সিএএ বিরোধী অর্থাৎ সরকার বিরোধী বিক্ষোভের এলাকায় জাল নোট ছড়ানো সুযোগকে তারা কাজে লাগাচ্ছে।
ইতিমধ্যেই ১ হাজার ফোনকল চিহ্নিত করা হয়েছে। যার মধ্যে দিল্লির হিংসায় ইন্ধনদাতাদের খুঁজে পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর মধ্যে বেশ কিছু ফোন কল জম্মু-কাশ্মীরের। জানা গেছে, পাক জঙ্গিরা সিএএ বিরোধী বিক্ষোভকে জেহাদের রূপ দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।