উত্তর পূর্ব দিল্লিতে যেসকল অঞ্চলগুলিতে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে অশান্ত জায়গাতে দেখা মাত্রই গুলির নির্দেশ দেওয়া হল | বিগত দুদিন ধরে যেভাবে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ ছড়িয়েছে তাতে কমপক্ষে ১৫৬জনের আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে | এদের অধিকাংশই পুলিশ কর্মী যারা কর্তব্যরত অবস্থায় আহত হয়েছেন আন্দোলনকারীদের ছোঁড়া ইট পাথরের আঘাতে |
সবচেয়ে অশান্ত এলাকা চান্দবাগ,ভজনপুরাতে এই নির্দেশ প্রযোজ্য | সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক ছবি থেকে জানা গিয়েছে সেখানে ঘরবাড়ি থেকে পেট্রোল পাম্প থেকে পুড়তে বাদ যায়নি কিছুই | এই অবস্থায় একের পর এক বৈঠক সেরেছেন দিল্লির উচ্চ পদস্থ প্রশাসনিক কর্তারা | তারপরেই মঙ্গলবার রাতে দিল্লির পুলিশের এস পি যমুনা বিহার অঞ্চলে এই নির্দেশিকার কথা ঘোষণা করে | চারটি অঞ্চলে ঘোষিত হয় কারফিউও | মঙ্গলবার সকাল থেকেই অশান্তি আরও বাড়তে থাকে | যা সিএএ থেকে সরে গিয়ে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের রূপ নেয় | তা থামাতে খানিকটা অসহায়ের মত লাগে দিল্লি পুলিশের কর্মীদের |
জাফরাবাদ ও মৌজাপুর ,বাবরপুরের মত অঞ্চলগুলিকে কার্যত অবরুদ্ধ করে রাখে বিক্ষোভকারীরা | সেগুলিকে খালি করাতে গেলে তুঙ্গে ওঠে অশান্তি | লাগোয়া অঞ্চল গাজিয়াবাদের তিন দিকের সীমানা সিল করা হয়েছে | বন্ধ রাখা হয়েছে সমস্ত পাব ও মদের দোকান | রাস্তার অভিমুখের গাড়িগুলি ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে অন্য রাস্তা দিয়ে |