কয়েক ঘন্টাতেই বিতর্ক এড়াতে সংবাদ মাধ্যমের ঘাড়ে যাবতীয় দায় চাপিয়ে বিবৃতি কট্টর পন্থী মুসলিম নেতা ওয়ারিশ পাঠানের

পাঁচদিন আগের এক জনসভায় বাইকুল্লার প্রাক্তন বিধায়ক ও এমাইএম এর মুখপাত্র ওয়ারিশ পাঠানের বক্তব্যে তৈরি বিতর্কে তোলপাড় দেশ। গুলবার্গাতে এক জনসভায় পাঠান বলেন, ১৫কোটি মুসলমান ক্ষমতায় সংখ্যাগুরু ১৫০র চেয়ে অনেক বেশি শক্তিধর। এখানেই থেমে থাকেনি কট্টরপন্থী এই মুসলিম নেতা। কেন্দ্রীয় সরকারের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিপক্ষে অবস্থানে বসা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মহিলাদের সিংহীর উপমা দিয়ে পাঠান বলেন, সিংহীদের হুঙ্কারেই সবার ঘাম বেরোতে শুরু করেছে ।

গোটা দেশের। যারা বলছেন আমরা আমাদের মহিলাদের সামনে রেখেছি, তাদের বলতে চাই সেই সিংহীদের ভয়েই এই অবস্থা। সবাই এল একি হোতো? সংবিধান অনুযায়ী ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে এই কথা স্বাভাবিক ভাবেই তুমুল প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। দেশবিরোধী তকমা সাঁটা হয় ওয়ারিশ পাঠানের গায়ে ।

চাপে পড়ে গিয়ে একঘন্টা আগে একটি বিবৃতি দেন ওয়ারিশ তার ট্যুইটার হ্যান্ডেলে। সেখানে এই বিতর্কের গোটা দোষই তিনি চাপান সংবাদমাধ্যমের উপর। তিনি পাঁচ দিন আগের এমন কোন বক্তব্য রাখেননি যেখানে কোন জাতি বা ধর্মের উপর আঘাত হানতে পারে ।

এমন কোন কথা বা মত পোষণ করেনা তার দল এম আইএম বা সে নিজে,যাতে দেশের সার্বভৌমত্ব নষ্ট হয়। কিন্তু দেওয়া পোস্টে একথা বলেন যে তিনি ক্ষুব্ধ সেকথা ঠিকই, আর পাঁচটা ভারতীয়দের মত তিনিও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধীতা করছেন। পাশাপাশি এনপিআর বা এনারসিরও তীব্র বিরোধীতা করেন। পর্যবেক্ষকদের মতে, বিজেপিকে সাম্প্রদায়িক বলে আক্রমণ করা এমআইএমের অধিকাংশ নেতা এই মন্তব্যে খানিকটা হলেও ব্যাকফুটে চলে যান তারা। তারই ফলস্বরূপ বৃহস্পতিবার রাতে এই পোস্টের সাফাই গেয়ে পাল্টা এই বিবৃতি দেন ওয়ারিশ পাঠান ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.