বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরুতে এআইএমআইএমের সভায় হঠাৎই ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান দিতে থাকেন এক মহিলা। সভার আয়োজকরা দ্রুত তার হাত থেকে মাইক সরিয়ে নিতে চাইলেও থামানো যায়নি তাকে। পরে পুলিশ ধরে নিয়ে যায় তাকে। সেদিনই তাকে আদালতে পেশ করা হয়। আপাতত রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাতে তাকে ১৪ দিনের জেলে থাকার সাজা শুনিয়েছে আদালত। সভার আয়োজকরা অবশ্য অমুল্য নামের মেয়েটির থেকে নিজেদের দূরত্ব বাড়িয়েছেন ।
মাজলিস, যাদের সভায় কাণ্ডটি ঘটে সেই দলের নেতা এবং এমপি আসাদুদ্দিন ওয়েইসি বলেছেন, মেয়েটির সঙ্গে নাকি তাদের দলের কোন সম্পর্কই নেই। তার দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে তারা একমত নন একেবারেই। মেয়েটির সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়েছেন খোদ তার বাবাও। তিনি মিডিয়াকে বলেছেন, ওই সভাতে তার মেয়ে যা বলেছে তা ঘোর অন্যায়। তার সঙ্গে তিনি কোনভাবেই একমত নন । তিনি নাকি বহুবার তাঁর মেয়েকে মুসলিমদের সঙ্গে একজোট হতে মানা করেন, কিন্তু মেয়ে নাকি সেকথা শোনেনি ।
উনি বহুবার মেয়েকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বয়ান দিতেও বারণ করেন, কিন্তু মেয়ে নাকি তাঁর কথা না শুনেই এই বিপদ ডেকে এনেছে। আইন মোতাবেক মেয়ের শাস্তি হোক এমনটাই চান তিনি বলেও মন্তব্য করেন। সেদিন ‘সংবিধান বাঁচাও’ নামে সিএএ-এনআরসি বিরোধী একটি সভার আয়োজন করে কর্ণাটকে এআইএমআইএমের শাখা ।
সভায় বক্তৃতা করেন দলের নেতারা। উপস্থিত ছিলেন ওয়েইসিও। হঠাৎই দেখা যায় একটি মেয়েকে মাইক হাতে কিছু বলায় উদ্যত অবস্থায়। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই তিনি ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান দিতে থাকেন। তখন তড়িঘড়ি ওয়েইসি সহ সভার আয়োজকরা তার হাত থেকে মাইক কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ততক্ষণে তিনি যা বলার বলেই দিয়েছেন। পরে তার উপর দেশদ্রোহর মামলা রুজু করে পুলিশ ।