মুখোশ পরিহিত মাও জে দং (Mao Jae Dong) এর কার্টুন নিয়ে চীন (China) ও নেপালের (Nepal) মধ্যে মনোমালিন্য তুঙ্গে। চলতি বছরের ১৮ ই ফেব্রুয়ারী, নেপালের একটি পত্রিকায় ছাপা নিবন্ধ ও তার ইলাস্ট্রেশন নিয়ে নেপালে অবস্থিত চীন (China) দূতাবাস অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে এবং পত্রিকাটির সম্পাদক সহ নিবন্ধটির লেখক এবং কার্টুনিস্টের নাম উল্লেখ করে তাদের হুমকিও দিয়েছে। এই নিবন্ধটি ন্যাটোর (NATO) প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রদূতের , যাতে লেখা হয়েছে যে করোনা নিয়ে চীনের সন্দেহজনক ও রহস্যজনক আচরণ বিশ্বজুড়ে ভয় ও সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। এই নিবন্ধটির কার্টুনে, চীনা বিপ্লবের মহান নায়ক মাও জে দংকে একটি মুখোশ পরিহিতভাবে আঁকা হয়েছে ।
উদ্ভুত পরিস্থিতিতে নেপাল (Nepal) চীনের (China) প্রতি কঠোর মনোভাব গ্রহণ করেছে এবং বলেছে যে তাঁরা সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং নেপালি মিডিয়া এবং সম্পাদকদের সরাসরি আপত্তিজনক মন্তব্য করা বা হুমকি দেওয়ার কোনও অধিকার চীনের নেই ।
সমস্ত নেপালি কাগজের সম্পাদকরা যৌথ বিবৃতি জারি করে চীনের (China) মনোভাবের তীব্র সমালোচনা করে বলেন যে নেপালি মিডিয়া, লেখক, সম্পাদক বা চিত্রকরদের বিরুদ্ধে চীনের (China) হুমকিপূর্ণ মনোভাব মোটেই মেনে নেবে না ।
সম্পাদকরা অভিযোগ করেছেন যে নেপালি মিডিয়া চীনের (China) এই অযাচিত নাক গলানো তথা অনধিকার চর্চা করে দেওয়া হুমকিকে গুরুত্ব দিচ্ছে এবং বলেছেন যে নেপালি মিডিয়ার বাক স্বাধীনতা অক্ষুণ্ন থাকবে এবং এর কোনও ক্ষতি হতে দেওয়া হবে না। নেপালি মিডিয়াগুলিতে প্রতিবাদ হিসাবে নিবন্ধটি পুনরায় ছাপা হয়েছে ।
প্রসঙ্গত ২০০৮ সালে নেপালে রাজতন্ত্র উচ্ছেদ হয়ে হিন্দুরাষ্ট্র থেকে ফেডেরল ডেমোক্র্যাটিক নেপাল রূপে আত্মপ্রকাশ করে। এর পিছনে ছিল মাওবাদী দের দীর্ঘদিনের গেরিলা যুদ্ধ। বহু ঘাত প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে চলা নেপালের ভাগ্যনিয়ন্তা এখন নেপাল কম্যুনিস্ট পার্টির। কম্যুনিজম মূল মন্ত্র করে চলা দুটি দেশের মধ্যে কার্টুন নিয়ে চলা বিরোধিতা নতুন কোনো সমীকরণের ইঙ্গিত দেবে কিনা সেদিকেই নজর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের ।