পাকিস্তানের উচিত পিওকে ছেড়ে দেওয়া। ইসলামাবাদে বসে এমনই মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জে মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিবের এই মন্তব্যে স্পষ্ট হয়ে গেছে পিকওকে পাকিস্তানের অংশ নয়, ওটা তারা দখল করেই রেখেছে। পাকিস্তান কাশ্মীরের যে এলাকাকে নিজের দেশের অংশ বলে দাবি করে থাকে সেটা আসলে তারা দখল করে রয়েছে। গুতেরেসের এই মন্তব্যে তা স্পষ্ট হয়ে গেছে।
একইসঙ্গে গুতেরেস জানিয়েছেন, কাশ্মীরবাসীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবে। তিনি বলেন, কাশ্মীর ইস্যুতে যে প্রস্তাব নিরাপত্তা পরিষদ নিয়েছে সেটা কার্যকর করা হবে। ১৯৪৮ সালের ২১ এপ্রিল এই প্রস্তাব গৃহীত হয়েছিল নিরাপত্তা পরিষদে। তাতে বলা হয়েছিল কাশ্মীরের বাসিন্দাদের মানবাধিকার এবং কাশ্মীরের স্বাধীনতার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হবে।
তিনদিনের পাকিস্তান সফরে গিয়েছিলেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব। এইসম তিনি করতারপুরের গুরুদ্বারও পরিদর্শন করেন। তিনি যোগ দেন পাকিস্তান আফগানিস্তানের রিফিউজিদের একটি সম্মেলনেও। সেখানেই তাঁকে কাশ্মীর ইস্যুতে প্রশ্ন করা হলে, তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, ভারত-পাকিস্তান কাশ্মীর নিয়ে আলোচনায় বসছে না। তিনি জানান, রাষ্ট্রপুঞ্জের বাহিনীর কাছে খবর আছে, ভারতের সীমান্তে হামলা চালানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।