অমিত শাহ চর্চা চেয়েছিলেন। সিএএ বিষয়ক চর্চা।
শাহিনবাগ দেখাল, চর্চা নয় তাদের পছন্দ হল্লা।
অমিত শাহ (Amit Shah) বলেছিলেন, শাহিনবাগের সঙ্গে তিনি আলোচনায় রাজি। তিনি প্রস্তুত শাহিনবাগের আন্দোলনকারীদের বুঝিয়ে দিতে যে নতুন নাগরিকত্ব আইনে এমন কিছু নেই যা মুসলিম বিরোধী। শাহিনবাগ বোঝাল, যুক্তি তর্কে তাদের আগ্রহ নেই। সমাধান তাদের লক্ষ্য নয়। নৈরাজ্যের পরিবেশ সৃষ্টি করে কারও রাজনৈতিক লাভ সাধিত করাই তাদের এজেন্ডা।
রবিবার দুপুরে প্রতিনিধি পাঠিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় না বসে মিছিল নিয়ে অমিত শাহের বাসভবনে প্রবেশ করার যে বায়না তারা করলেন তা যে কোনও মতেই বাস্তবোচিত নয় এ কথা তারাও জানেন। বাজার গরম করার যে রাজনীতি তারা করে চলেছেন, রবিবার দুপুরে তা আরও পরিস্কার হয়ে গেল।
দিল্লির যে সকল মানুষ শাহিনবাহের কারনে প্রত্যহ দুর্ভোগ সহ্য করছেন, তাদের বোধায় এবার মুখ খোলার সময় হয়েছে। মানুষের আন্দোলনের নামে যে অনুষ্ঠান সেখানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সেই অনুষ্ঠানের স্বরূপ রবিবার প্রকাশ পেয়ে গেছে। কোদাল কে কোদাল বলার সময় এসেছে, বলা ভাল সময় পেরিয়ে যাচ্ছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে নিজেদের মত প্রতিষ্ঠা করার যোগ্যতা তাহলে শাহিনবাগের নেই? কিংবা এই বিষয়ে তাদের কোনও সুচিন্তিত মতামতই নেই। যা আছে তা এক কথায় নৈরাজ্যবাদ। এই নৈরাজ্যবাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকার আর কবে কঠোর পদক্ষেপ নেবেন, কবে অবস্থান তুলবে দিল্লি পুলিশ ?
কেজরিবালেরও মনে রাখা উঠিত যাঁরা নিত্য দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন তাঁরা দিল্লিরই নাগরিক, বেশিরভাগ আপেরই ভোটার।
শাহিনবাগ বিরোধী আন্দোলনের সময় কি এল?
দেবক বন্দ্যোপাধ্যায়