আপনি কি প্রায়ই দূরপাল্লার ট্রেনে যাতায়াত করেন। অথবা ভ্রমণের জন্য ট্রেনকেই পছন্দ করেন? সেক্ষেত্রে অবশ্যই কিছু নিয়ম আপনার জেনে রাখা দরকার। আসুন দেখে নেওয়া যাক
কেউ রাতের যাত্রায় ডিস্টার্ব করবে না
যদি আপনি রেলের নিয়ম পড়েন তাহলে স্পষ্টই দেখা যাচ্ছে এখন থেকে আপনার রাতের ট্রেন যাত্রায় আর কেউ বিঘ্ন ঘটাবে না। এমনকি রেলওয়ের টিকিট চেকারও আপনার ইচ্ছার বিরুদ্ধে আপনাকে বিরক্ত করতে পারবে না। খুব কম লোকই রেলের এই নিয়ম সম্পর্কে জানেন। কিন্তু এই নিয়ম সত্যিই খুব কাজের। রেল যাত্রীদের না জানার কারণে অনেকেই বোকা বনে যান।
রাত ১০ টার পর টিকিট চেক করতে পারবে না চেকার
ট্রেন যাত্রার সময় টিকিট চেকার টিকিট চেক করতে আসেন। এমনকি কখনও কখনও রাতেও টিকিট চেক করতে আসে টিকিট চেকারেরা। হয়তো অনেক যাত্রীই সে সময় ঘুমিয়ে থাকে। তাঁদের ডেকে টিকিট দেখতে চান টিকিট চেকার। কিন্তু আসল কথা হল রাত ১০ টার পর টিটি অর্থাৎ টিকিট পরীক্ষক টিকিটের জন্য যাত্রীদেরকে বিরক্ত করতে পারেন না। টিকিট পরীক্ষককে সকাল ৬ টা থেকে ১০ টার মধ্যে টিকিট চেক করতে হবে। রাতে ঘুমানোর সময় কোনও যাত্রীকে বিরক্ত করা যাবে না। কিন্তু এই নিয়ম শুধুমাত্র সেই যাত্রীদের জন্য, যারা কেবলমাত্র রাত ১০ টার আগে ট্রেন যাত্রা শুরু করবেন।
মিডল বার্থে শোয়ার জন্য নিয়ম
বেশিরভাগ সময় দেখা যায় মিডল বার্থ যে যাত্রীর থাকে সে ট্রেনে যাত্রা শুরু হলেই মিডল বার্থ খুলে নেয়। এরফলে সবচেয়ে বড় সমস্যায় পড়েন লোয়ার বার্থের যাত্রীরা। কিন্তু রেলের নিয়ম অনুসারে একজন মিডল বার্থের যাত্রী শুধুমাত্র রাত ১০ টা থেকে সকাল ৬ টা পর্যন্ত তাঁর বার্থটিকে খুলে রাখতে পারে। রাত ১০ টার আগে কোনও যাত্রী যদি চান, সেক্ষেত্রে তিনি মিডল বার্থটি খোলা আটকাতে পারেন। এছাড়া সকাল ৬ টার আগে ওই মিডল বার্থ খুলে দিতে হবে, যাতে নীচে অন্য যাত্রীরা বসতে পারেন।
দু’টি স্টেশন পর্যন্ত সিট যাত্রীরই
কনফার্ম টিকিট হাতে পাওয়ার পরও যদি কোনও ভাবে ট্রেন মিস হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে পরের দুটি স্টেশন অথবা পরের এক ঘন্টা ট্রেনের সিট টিকিট পরীক্ষক অন্য কোনও যাত্রীকে দিতে পারেন না। রেলের নিয়মে লেখা রয়েছে এমনটাই।
যাত্রার রুট বৃদ্ধি
অনেক সময় দেখা যায়, গন্তব্য স্টেশনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। বিশেষ করে ঘুরতে যাওয়ার মরসুমে এ ঘটনা প্রায়ই হয়। সেক্ষেত্রে গন্তব্য পথের কোনও একটি স্টেশনের টিকিট কেটে নিতে হবে। এরপর টিকিট পরীক্ষক এলে সেই টিকিট দেখিয়ে নিজের গন্তব্য বাড়িয়ে নেওয়া যায়। এক্ষেত্রে চেকার অতিরিক্ত কিছু টাকা নিয়ে টিকিটের বৈধ স্টেশন বাড়িয়ে দিতে পারেন। এমনকি যদি বার্থ ফাঁকা না থাকে, সেক্ষেত্রে টিকিট চেকার চেয়ার কারে টিকিট দিতে পারেন।