প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সফরের আগেই ফের ধাক্কা।এবার ‘উন্নয়নশীল দেশের’ তালিকা থেকে ভারতকে বাদ দিল আমেরিকা। এর ফলে মার্কিন মুলুকে ভারতের রপ্তানি ধাক্কা খেতে পারে।
চলতি মাসের ২৪ তারিখ ভারতে আসছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটনের মধ্যে বড় মাপের প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে বলেও জল্পনা তুঙ্গে। এহেন পরিস্থিতিতে বাণিজ্যের মাপকাঠিতে ভারতকে ‘উন্নয়নশীল দেশের’ তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে মার্কিন সংস্থা ‘ইউনাইটেড স্টেটস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ’। পাশাপাশি, ওই তালিকা থেকে বাদ পড়েছে ব্রাজিল, হংকং, ইন্দোনেশিয়া, সাউথ আফ্রিকা ও আর্জেন্টিনা। মার্কিন সংস্থাটি সাফ জানিয়েছে, পুরনো তালিকাটির ভিত্তিবর্ষ ছিল ১৯৯৮। কিন্তু এবার পরিস্থিতি পালটেছে। ভারত এখন জি-২০ দেশের অন্তর্ভুক্ত। বিশ্ব বাণিজ্যে নয়াদিল্লির শেয়ার ০.৫ শতাংশ বা তার বেশি। ফলে পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে এই তালিকার নবীকরণ করা হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, মার্কিন নীতিতে পরিবর্তন ভারতের রপ্তানিতে বড়সড় প্রভাব ফেলবে।’উন্নয়নশীল দেশ’ হওয়ার সুবাদে বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে কম শুল্ক-সহ নয়াদিল্লিকে বেশ কিছু ছাড় দিত ওয়াশিংটন। এবার সেই সমস্ত সুবিধা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্য চুক্তির আলোচনায় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে আমেরিকায় ৬.৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে ভারত। বিশেষ সুবিধার আওতাভুক্ত থাকায় এর ফলে কৃষিজাত পণ্য রপ্তানিতে ভারত সুবিধাজনক জায়গায় ছিল। জেনে রাখা ভাল, কৃষিজাত পণ্যের উৎপাদনে কৃষকদের ভরতুকি দেয় ভারত সরকার। ফলে অপেক্ষাকৃত কম দামে আমেরিকায় পণ্য সরবরাহ সম্ভব হয়। কিন্তু নয়া নীতিতে আমেরিকা সাফ করে দিয়েছে এবার থেকে স্থানীয় কৃষকদের কথা মাথায় রেখে সরকারি ভরতুকি প্রাপ্ত পণ্যের আমদানিতে নয়া শুল্ক চাপানো হতে পারে।
এদিকে, মার্কিন নীতি পরিবর্তনে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে শিব সেনা। মুখপাত্র ‘সামনা’য় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়ছে, “মার্কিন নীতি পরিবর্তন ভারতের অর্থনীতিতে বড় আঘাত। একটি গুগলি ছুঁড়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থানের দিক থেকে দেখতে গেলে কোনওভাবেই ভারত উন্নত দেশ নয়। তবে আমাদের প্রধানমন্ত্রী এই তেতো দাওয়াইকেও মিষ্টিতে পালটে ফেলবেন।”