প্রকাশ্যে এল হিন্দু নির্যাতনের ছবি! “মুসলিম হতে চাইনা, বাঁচান আমায়” করুণ আর্তি পাক হিন্দু নাবালিকার

প্রকাশ্যে এলো পাকিস্তানে ভয়াবহ হিন্দু নির্যাতনের ছবি। সিন্ধ প্রদেশের এক হিন্দু নাবালিকাকে অপহরণ করে জোর করে ধর্মান্তরিত করা এবং জোর করে মুসলিম যুবকের সঙ্গে বিয়ের মামলায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। আদালতে মেহেক কুমারি নামে ওই নাবালিকার জানিয়েছে সেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে চায় না। সে স্বেচ্ছায় কোন মুসলিমকে বিয়েও করেনি। আদালতের কাছে তার কাতর আর্জি তাকে যেন তার মা-বাবার কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

ওই নির্যাতিতার আইনজীবী নারায়ণ দাস কাপুর জানিয়েছেন, জেকোবাবাদ দ্বিতীয় অতিরিক্ত বিচারক গোলাম আলি কানসোর নিজের চেম্বারে নিয়ে গিয়ে মেহেকের বয়ান রেকর্ড করেছেন। কারণ ওই দিন আদালতে প্রচুর সংখ্যায় মৌলবি ও উগ্র ইসলামপন্থী ব্যাক্তি উপস্থিত ছিলেন। তাই নিরাপত্তার কথা ভেবে নিজের চেম্বারে নিয়ে গিয়ে ওই নাবালিকার বয়ান রেকর্ড করার সিদ্ধান্ত নেন বিচারক।

আইনজীবী জানান বিচারককে মেহেক জানিয়েছে, সে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে চায় না। সে স্বেচ্ছায় কাউকে বিয়েও করেনি। সে নিজের বাবা-মায়ের কাছে ফিরতে চায়। কিন্তু এই বয়ান দেওয়ার পর থেকেই লাগাতার হুমকির মুখে পড়েছেন নির্যাতিতা ও তার পরিবার বলেও জানিয়েছেন আইনজীবী।

১৫ ই জানুয়ারি পাকিস্তানের জেকোবাবাদ শহর থেকে মেহেক কুমারি নামে ওই নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে অপহরণ করেছিল কয়েকজন যুবক। আলি রাজা সোলাঙ্কি নামে এক ব্যক্তি তাকে জোর করে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করে বিয়ে করে বলে অভিযোগ। মেহেকের বাবা ওই আলি রাজা সোলাঙ্কির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন পুলিশে। তিনি বলেছিলেন তার মেয়ের বয়স ১৫ বছর। সে নাবালিকা।

কিছুদিন আগে এই মামলাটি আদালতে উঠলে মেহেক কুমারীকে মহিলা নিরাপত্তা সেন্টারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। একই সঙ্গে তার প্রকৃত বয়স জানা এবং হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেই রিপোর্ট আদালতে পেশ করতেও বলেছে বিচারক। ইতিমধ্যে একটি ভিডিও সামনে আসে। যেখানে আলি রাজার পাশে বসে আছে মেহেক এবং সেখানে সে বলছে সে স্বেচ্ছায় মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করেছে এবং তার নাম আলিজা। সে আলি রাজাকে স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছে। তবে এইসব মেহেককে দিয়ে জোর করে বলানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তার পরিবারের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.