বাজেট ভাষন নিয়ে কোনও বিতর্ক বাড়ালেন না রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। শুক্রবার রাজনৈতিক মহলে জল্পনা ছিল বাজেট ভাষন নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘাতে যেতে পারেন তিনি। কিন্তু কোনওরকম সংঘাতে না গিয়ে রাজ্য সরকারের দেওয়া ২৫ পাতার ইংরেজি বক্তৃতা পাঠ করলেন। রাজ্যপাল কোনও বিরূপ মন্তব্য করলে তৃণমূল বিধায়করাও তৈরি ছিলেন জবাব দিতে। কিন্তু রাজ্যপালের কৌশলী চালে হতাশ তৃণমূল বিধায়করা।
I delivered the address in the high traditions of constitution. I do hope all will pay due obeisance to the constitution. This is the only way to serve the people and enhance democratic values. I urge those in authority to desist from methodology not sanctified by constitution.773:35 PM – Feb 7, 2020Twitter Ads info and privacy20 people are talking about this
তৃণমূল বিধায়করা বুকে এনআরসি, সিএএ ও এনপিআর বিরোধী ব্যাজের সঙ্গে মাথায় ফেটটি ও অ্যাফরন পড়ে এসছিলেন রাজ্যপালের বক্তৃতার মোকাবিলা করতে। বক্তৃতার শেষ ভাগে রাখা হয়েছিল এনপিআর, এনআরসি সিএএ-র বিষয়টি। তৃণমূল সরকার যে এই বিষয়গুলি নিয়ে বিজেপির অবস্থানের বিরোধী। তা ভালোই জানেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সেই মোতাবেক তৈরি হয়েছিল রাজ্যপালের বক্তৃতা। ভালোভাবেই সেই বক্তৃতা পাঠ করলেন কোনও বিতর্ক ছাড়াই। ভাষন শেষে রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে হাসিমুখে করমর্দন করেন। বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান ও বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর আসনের কাছে গিয়ে সৌজন্যে বিনিময় করতে দেখা যায় তাঁকে। শেষে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমন্ত্রণে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে চা চক্রে যোগ দেন রাজ্যপাল।
স্পিকার ও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আধ ঘন্টা চা চক্রে কাটিয়ে রাজভবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। রাজ্যপালের বক্তৃতার শেষে রাজ্যের এক মন্ত্রী মস্করা করে বলেন, “এত শান্তিপূর্ণ বাজেট বক্তৃতা আমরা এর আগে কখনো শুনিনি। কারণ আমরা যখন বিরোধী ছিলাম তখন রাজ্যপালের ভাষণের সময় খুব চিৎকার চেঁচামেচি করতাম। আজ বিরোধীরা হয়তো, রাজ্যপালের বক্তৃতায় বিতর্কিত কিছু আশা করেছিলেন। তাই তারাও কিছু করেননি। আমাদের কিছু করার সুযোগ দেননি রাজ্যপাল সময়।”