এপার বাংলায় বাংলাদেশী বই বিক্রেতাদের যাতায়াত অবাধ। প্রতি বছর কলকাতা অন্তর্জাতিক পুস্তক মেলায় থিম দেশসহ অন্য সমস্ত দেশের পুস্তক বিপণীর জন্য একটায় প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ হলেও ঐ সমস্ত দেশ বাদে বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দ থাকে অালাদা একটি প্যাভিলিয়ন। এছাড়া, প্রতি বছর মোহরকুঞ্জে অালাদা করে বসে ‘বাংলাদেশ বইমেলা’।
সেখানেও নামীদামি বাংলাদেশী লেখকদের লেখা কিনে পড়েন শহর কলকাতা এবং এপার বাংলার অাপামর বাঙালি পাঠক। কাজেই নিজের দেশের বাইরেও বাংলাদেশী প্রকাশকদের কার্যত পোয়াবারো। অথচ ওপার বাংলায় নেই কলকাতার কোনো বই বিক্রির অনুমতি। অার নিয়েই তসলিমা নাসরিন বিঁধলেন বাংলাদেশের প্রকাশক ও বিক্রেতাদের ।
বুধবার নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে করা একটি পােষ্টে তসলিমা তাদের তীব্র অাক্রমণ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ এদিকে বই বিক্রি করতে পারলেও কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গের সে সুযোগ নেই ।
ফলে সাংস্কৃতিক অাদান-প্রদানের কথা মুখে বললেও বাস্তবে তা হচ্ছে না। বরং এক তরফা বাংলাদেশী বই ই বিক্রি হচ্ছে এদিকে। কারণ হিসেবে তসলিমা ওপারের বইয়ের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তার মতে বাংলাদেশে বইয়ের নামে কার্যত জঞ্জাল ছাপা হয়। অার ফল হিসেবে বাংলাদেশের পাঠকরা বঞ্চিত হন ভালো লেখা থেকে। যার ফায়দা তোলে সে দেশের প্রকাশকেদের একাংশ ।