শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আজ সংসদে দাঁড়িয়ে অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরীর জন্য ট্রাস্ট গঠনের ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি জানান এই ট্রাস্টের নাম রাখা হয়েছে “শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র” । রাম মন্দির তৈরি তথা তার সংলগ্ন সবরকম ইস্যু নিয়ে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেবে এই ট্রাস্ট। এই ঘোষণার পরই সংসদে জয় শ্রীরাম স্লোগান ওঠে। অযোধ্যায় বিশালাকৃতি রাম মন্দির তৈরীর জন্য সবার সমর্থনের আবেদন জানান তিনি।
গত বছর ৯ নভেম্বর অবসরের আগে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতি সাংবিধানিক বেঞ্চ অযোধ্যা মামলায় ঐতিহাসিক রায় দেয়। রায়ে বলা হয় অযোধ্যার বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমিতে রাম মন্দির তৈরি হবে। অন্যত্র মসজিদ তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়। তার জন্য সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে ৫ একর জমি বরাদ্দ করারও নির্দেশ দেওয়া হয় সরকারকে। একইসঙ্গে রাম মন্দির তৈরীর জন্য তিন মাসের মধ্যে একটি ট্রাস্ট গঠন করার নির্দেশ দেওয়া হয়। আর সেই ট্রাস্ট তৈরি হবে কেন্দ্র সরকারের তত্ত্বাবধানে।
আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি এই রায়ের তিন মাস পূর্ণ হবে। তার কয়েকদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী এই ঘোষণা করলেন। তবে সামনে দিল্লির নির্বাচন। তার আগে এই ঘোষণা রাজনৈতিকভাবে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
মঙ্গলবার সংসদে ঘোষণা করা হয়েছে,এখনই এনআরসি হচ্ছে না। শাহিনবাগ নিয়েও চলছে বিতর্ক। তার মধ্যে রাম মন্দির ট্রাস্ট গঠন অবশ্যই নতুন করে অক্সিজেন দিতে পারে বিজেপিকে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে আবার রাম মন্দির কে হাতিয়ার করেই দিল্লি ভোটের বৈতরণী পার করার চেষ্টা করছে পদ্মশিবির।