“পাকিস্তানের সংখ্যালঘু হিন্দুরা যেমন সেখানে পুজো অর্চনা করতে পারেন না। তাদের সেই অধিকার সেখানে নেই। ঠিক একই রকম অবস্থা পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুদেরও। তাদেরও পুজো করার অধিকার নেই এখানে।” এভাবেই আজ সংসদে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তুলনা করলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।
সংসদে দাঁড়িয়ে লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যের একাধিক জায়গায় চাইলেও সরস্বতী পুজো করতে দেওয়া হয়নি। এই ঘটনাই প্রমাণ করে দিয়েছে পাকিস্তানের সংখ্যালঘু হিন্দুদের মতো একই অবস্থা পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুদেরও। কারণ এখানে তারা সরস্বতী পুজো করার অধিকার থেকে বঞ্চিত। এর জন্য বিজেপি সাংসদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার দলের বিরুদ্ধে তুষ্টিকরণের রাজনীতিকে দায়ী করেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, উত্তর ২৪ পরগণার হাড়োয়া চৌহাটা হাইস্কুল, হুগলীর হরিপালের বলাইদের প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ দিনাজপুরের ফুলবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়, মালদার বৈষ্ণবনগর হাই স্কুল, কালিয়াচক হাই স্কুল, রামনগর হাই স্কুলের মত রাজ্যের বহু স্কুলে সরস্বতী পুজো করতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এমনও বেশ কিছু স্কুল রয়েছে যেখানে ছাত্ররা নিজ উদ্যোগে পুজো করতে চাইলেও তাদের পুজো করতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
তাই রাজ্যে সরস্বতী পুজো করতে বাধা দেওয়া,রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার অবনমন, নারী নির্যাতনের ঘটনা বৃদ্ধি, গঙ্গারামপুরের ঘটনার মত একাধিক অভিযোগ জানিয়ে আজ রাজ্যের ১৮ জন বিজেপি সাংসদ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন। তারা একটি স্মারক লিপিও জমা দেন।
রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বেরিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “দক্ষিণ দিনাজপুর গঙ্গারামপুর এক মহিলার উপর যেভাবে অত্যাচার হয়েছে সে বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্কুলে সরস্বতী পুজো বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। যে স্কুলে গত ৫০ বছর ধরে পুজো হত তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ কে বাংলাদেশ বানানোর চক্রান্ত চলছে। রাজ্যের নারী নির্যাতন বেড়েছে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে। এই সমস্ত বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে স্মারকলিপি দিয়ে জানালাম।”