সিএএ বিরোধী আন্দোলনে প্রথম থেকেই সংবাদ শিরোনামে ছিল শাহীনবাগ। শাহীনবাগের আন্দোলনের সঙ্গে সঙ্গে বন্দুক নিয়ে হামলার ঘটনা নিয়েও তোলপাড় দেশের সমস্ত মহল। গত ৩০ শে জানুয়ারি প্রথমে গুলি চালিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে রাম ভগত গোপাল সিং নামের এক ব্যক্তি ।
সেই শাহীনবাগেই গত ১ তারিখে গুলি চালিয়ে গ্রেফতার হয় কপিল গুজ্জর নামের এক যুবক। তাকে অ্যারেস্ট করার পর ঘটনার তদন্তে নামে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে রীতিমতো হতবাক গোয়েন্দারা। কপিলের ফোন ঘেঁটে পাওয়া গেছে একাধিক আপ নেতার সঙ্গে তার ছবি ।
রয়েছে আপের সভা সমিতি ও বিভিন্ন কার্য্যক্রমে যোগদান করার ছবিও। সে সঙ্গে পাওয়া গেছে অতিশী মারলেনা, সঞ্জয় সিংয়ের মত অাম অাদমী পার্টির একাধিক হেভিওয়েট নেতার সঙ্গে একসঙ্গে পোজ দিয়ে তোলা ছবিও ।
অার এখানেই উঠছে প্রশ্ন। তাহলে কি দিল্লি নির্বাচনের আগে অাপের রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা পূর্ণ করতেই কপিলের শাহিনবাগ গমন? সব মিলিয়ে যত দিন যাচ্ছে শাহীন বাগের সিএএ বিরোধিতা ও তাকে ঘিরে পারিপার্শ্বিক ঘটনা আসলে যে রাজনৈতিক ভাবে ক্রমাগত ব্যবহার হয়ে চলেছে সে বিষয় হয়তো ক্রমশ পরিষ্কার হয়ে চলেছে বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ।