এনআরসি, নাগরিকত্ব, এনপিআর প্রভৃতি ইস্যুতে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিবাদ আন্দোলনে এখন উত্তাল অসম-সহ সমগ্র দেশ। অসমবাসী প্রতিবাদের নামে। নজিরবিহীন তাণ্ডবের সাক্ষী থেকেছে। আহ ওই আহ, ওলাই আহ’ (আয়, আয় বেরিয়ে আয়)। ছাত্র-ছাত্রী, আবাল-বৃদ্ধ-বণিতার মুখে একই স্লোগান, একই বাক্য। হাতে হাতে প্ল্যাকার্ড। দফায় দফায় অবরোধ-বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছিল সমগ্র অসম। ভাঙচুর, আগুন অর্থাৎ প্রতিবাদের নামে তাণ্ডব চালানো হলো সমগ্র অসমে। সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করা হয়েছে। একাংশ সুযোগসন্ধানী বৈদ্যুতিক মিডিয়াও এই ক্ষেত্রে ইন্ধন দিয়েছে। এই হিংসা প্রতিবাদের কেন্দ্রবিন্দু ছিল ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের ২০১৯ সালের সংশোধনী। আর এই উত্তাল পরিবেশের মধ্যেই দাবি উঠছে অসমকেও ইনার লাইন পরিমিটের আওতায় আনার জন্য। আসু, অসম জাতীয়তাবাদী যুব ছাত্র পরিষদ-সহ কয়েকটি জাতীয়তাবাদী সংগঠন অনেকদিন থেকে দাবি করছে অসমে ইনার লাইন পারমিট চালু করার জন্য। আর এই নতুন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন মতে ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের ২ নম্বর ধারার ১ নম্বর উপধারার শেষে সংযুক্ত করা হয়েছে এইরূপ—
“Provided that any person belonging to Hindu, Sikh, Buddhist, Jain, Parsi, or Christian community from Afghanistan, Bangladesh and Pakistan, who entered into India on or before 31st December, 2014 and who has been exempted by the Central Government by or under clause (c) of sub-section (2) of section 3 of the Passport (Entry into India) Act, 1920 or from the application of the provisions of the Foreigners Act, 1946 or any rule or order made thereunder, shall not be treated as illegal migrant for the purposes of this Act”।
এই নতুন সংযোজনের পিছনে কিন্তু মূল ভিত্তি হচ্ছে কেন্দ্র সরকারের জারি করা পাসপোর্ট (ভারতে প্রবেশ) আইন ১৯২০ এবং ১৯৪৬ সালের বিদেশি আইনের অধীনে দুটি ‘নোটিফিকেশন’ অর্থাৎ ‘ঘোষণাপত্র’ যা অফিসিয়েল গ্যাজেট বা রাজপত্রে প্রকাশ পায়। ২০১৫ সালের ৮ সেপ্টম্বর। সরকারি নির্দেশ 199 266— G.S.T. 685 (E) under Passport (Entry into India) Act, 1920 (34 of 1920) এবং G.S.T. 686 (E) under Foreigners Act, 1946 (31 of 1946) এবং নোটিফিকেশন অনুসারে ওইদিন থেকেই তা সমগ্র দেশে কার্যকর রয়েছে। এই নোটিফিকেশনের মোদ্দাকথা হচ্ছে- ‘৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ সাল পর্যন্ত ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে হিন্দু, জৈন, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, পারসি এবং শিখ ধর্মাবলম্বী মানুষ অর্থাৎ বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সংখ্যালঘু মানুষ নিজ দেশ থেকে বিতারিত হয়ে ভারতে প্রবেশ করেছেন তাদের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট (ভারতে প্রবেশ) আইন ১৯২০ এবং ১৯৪৬ সালের বিদেশি আইন প্রযোজ্য হবে না। মানবিক কারণেই তাদের ভারতে থাকতে দেওয়া হবে প্রয়োজনীয় বৈধ নথিপত্র ছাড়াই। পরে ২০১৬ সালে অন্য আরেকটি নোটিফিকেশন জারি করে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সঙ্গে আফগানিস্তানকে জুড়ে দেওয়া হয়েছিল। নতুন নাগরিকত্ব আইন সংশোধনী অনুসারে ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে হিন্দু, জৈন, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, পারসি এবং শিখ ধর্মাবলম্বী মানুষ বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ সালের পূর্বে ভারতের প্রবেশ করেছেন তাদেরকে ‘অবৈধ অনুপ্রবেশকারী’ বলা হবে না।
এছাড়াও নতুন নাগরিকত্ব আইন সংশোধনীর মাধ্যমে ৬ (খ) একটি নতুন ধারা সন্নিবেষ্টিত করা হয়েছে ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনে। ওই ৬ (খ) ধারায় রয়েছে চারটি উপধারা। আর চতুর্থ উপধারায় বলা হয়েছে ৬ (খ) ধারাটি অসম, ত্রিপুরা, মেঘালয়, নিজোরাম ও ত্রিপুরার সংবিধানের ষষ্ঠ তফশিল ভুক্ত এলাকাগুলিতে প্রযোজ্য হবে না এবং ১৮৭৩ সালের Bengal Eastern Fronirer Regulation অনুযায়ী ইনার লাইন পারমিট প্রথা যেসব জায়গায় রয়েছে সেইসব জায়গায় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের ৬ (খ) ধারা প্রযোজ্য হবেনা।ইনার লাইন পারমিটের ধারণা কিন্তু এসেছে সেই ঔপনিবেশিক এলাকা থেকে। ইনার লাইন পারমিটের উৎপত্তি ১৮৭৩ সালের বেঙ্গল ইন্টার্ন ফ্রন্টিয়ার রেগুলেশন অনুসারে। ওই আইন কার্যকর হয়েছিল ১৮৭৩ সালের ২৭ আগস্ট। ব্রিটিশরা নিজ স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য এই আইন করেছিল। এই আইন অনুসারে ভারতীয় কেউ যাতে ব্যবসা-বাণিজ্য করে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে কাটা হয়ে না দাঁড়ায়, সে কারণে এই ব্যবস্থা ব্রিটিশ চালু করেছিল। ভারত সরকার যখন এই অইনে চালু রাখে,তখন তার উদ্দেশ্য হিসেবে বলা হয়েছিল ভারতের অন্যান্য প্রদেশ থেকে ওই এলাকায় আদি বাসিন্দাদের সুরক্ষা প্রদান। পূর্বে জম্মু ও কাশ্মীরের লেহ জেলার কয়েকটি অংশে ইনার লাইন পারমিট প্রচলন ছিল। ২০১৪-র ১ মে। থেকে এই প্রথা বাতিল করা হয়। ২০১৭-তে পুনরায় চালু হয় জম্মু ও কাশ্মীরের লেহ জেলায়। এই ইনার লাইন পারমিটে একটা নির্দিষ্ট মেয়াদ আছে যা উত্তীর্ণ হওয়ার আগেই উক্ত রাজ্য থেকে বেরিয়ে আসতে হবে— অনেকটা বিদেশে প্রবাসের জন্য পাসপোর্ট কিংবা ভিসার মতো অর্থাৎ অভিবাসী পুনর্বাসন কোনভাবেই সম্ভব নয়।
ভারতের সংবিধান হচ্ছে ভারতীয় সাধারণতন্ত্রের সর্বোচ্চ আইন। এই সংবিধানের ৩৭২ (২) নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে ব্রিটিশ সরকারের কোনও আইন পরিবর্তন, সংশোধনের ক্ষমতা থাকবে একমাত্র দেশের রাষ্ট্রপতির হাতে। ওই ক্ষমতার জন্যই রাষ্ট্রপতি ১৯৫০ সালে চালু করেছিলেন Adaptation of Laws Order, 1950। এই নির্দেশ কার্যকরী হয়েছিল ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি থেকে। এই নির্দেশের দৌলতেই দেশের হাতেগোনা কয়েকটি রাজ্যে চালু হয়েছিল ‘ইনার লাইন পারমিট’
ইনার লাইন পারমিট চালু হয় নাগাল্যান্ড, অরুণাচল প্রদেশ এবং মিজোরামে। কিন্তু গত ১১ ডিসেম্বর দ্য অ্যাডাপটেশন অব ল (অ্যামেন্ডমেন্ট) অর্ডার ২০১৯ জারি করে বর্তমান অসমের কয়েকটি জেলাকে বাদ দেওয়া হয় এবং মণিপুরকে নতুন রাজ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয় ইনার লাইন পারমিটের আওতায়। ২০১৯ সালের অ্যাডাপটেশন অব ল (অ্যামেন্ডমেন্ট) অর্ডার জারি করে বেঙ্গল ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার রেগুলেশন ১৮৭৩-এর প্রস্তাবনায় বড়ো ধরনের সংশোধন এনেছে কেন্দ্রের মোদী সরকার। ওই সংশোধনীর পূর্বে প্রস্তাবনায় বলা হয়েছিল অবিভক্ত কামরূপ, দরং, নগাঁও, শিবসাগর, লখিমপুর, কাছাড় জেলা ও নাগা পাহাড়ে প্রয়োজনে ইনার লাইন পারমিট বলবতের কথা। উল্লেখ্য, অবিভক্ত কামরূপ জেলার মধ্যে রয়েছে বর্তমান কামরূপ (গ্রামীণ), কামরূপ (মেট্রো) নলবাড়ি, বরপেটা, বাকসা জেলা, অবিভক্ত দরং জেলার মধ্যে হয়েছে দরং, ওদালগুড়ি, শোণিতপুর, বিশ্বনাথ, অবিভক্ত নগাঁও জেলার মধ্যে রয়েছে নগাঁও, মরিগাঁও, হোজাই, অবিভক্ত শিবসাগর জেলার মধ্যে রয়েছে শিবসাগর, যোরহাট, গোলাঘাট, চরাইদেউ, অবিভক্ত লখিমপুর জেলার মধ্যে রয়েছে লখিমপুর, ধেমাজি, ডিব্ৰুগড় এবং তিনসুকিয়া অবিভক্ত কাছাড় জেলার মধ্যে রয়েছে কাছাড়, করিমগঞ্জ এবং হাইলাকান্দি। তাই নতুন সংশোধনীর মাধ্যমে অসমের এই কয়েকটি জেলা বেঙ্গল ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার রেগুলেশন ১৮৭৩-র প্রস্তাবনা থেকে বাদ দেওয়া হয়। সংক্ষেপে বলা যায় অসম রাজ্যকে বাদ দেওয়া হয় ইনার লাইন পারমিটের আওতা থেকে। বিগত ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯ সালে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট রাষ্ট্রপতির জারি করা নির্দেশ অর্থাৎ বেঙ্গল ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার রেগুলেশন ১৮৭৩-এর সম্পর্কিত নির্দেশের সংশোধনীতে সম্মতি জানায়। ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে লাগু হয় ইনার লাইন পারমিট প্রথা মণিপুর রাজ্যে । মেঘালয় রাজ্য ক্যাবিনেট বিগত ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯ সালে এক সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাব পাশ করে মেঘালয়কে বেঙ্গল ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার রেগুলেশন ১৮৭৩-এর আওতায় আনার জন্য।
আবার নতুন নাগরিকত্ব সংশোধনীর ৭ (খ) ধারার চতুর্থ উপধারায় বলা হয়েছে অসম, ত্রিপুরা, মেঘালয় মিজোরাম ও ত্রিপুরার সংবিধানের ষষ্ঠ তফশিল ভুক্ত এলাকাগুলিতে প্রযোজ্য হবে না। এই চারটি রাজ্যের দশটি স্বায়ত্তশাসিত জেলা পরিষদগুলি হচ্ছে—(১) অসম-বড়োল্যান্ড টেরিটোরিয়েল কাউন্সিল, কাবিআংলং স্বায়ত্তশাসিত জেলা কাউন্সিল এবং ডিমাহাসাও স্বায়ত্তশাসিত জেলা কাউন্সিল।(২) মেঘালয়- গারো পাহাড় স্বায়ত্তশাসিত জেলা কাউন্সিল, জৈন্তিয়া স্বায়ত্তশাসিত জেলা পরিষদ। এবং খাসি পাহাড় স্বায়ত্তশাসিত জেলা পরিষদ। (৩) ত্রিপুরা— ত্রিপুরা উপজাতি অঞ্চল স্বায়ত্তশাসিত জেলা পরিষদ (৪) মিজোরাম— চাকমা স্বায়ত্তশাসিত জেলা কাউন্সিল, লাই স্বায়ত্তশাসিত জেলা পরিষদ মরা স্বায়ত্তশাসিত। জেলা পরিষদ। এই চারটি রাজ্যের দশটি স্বায়ত্তশাসিত জেলা পরিষদে নাগরিকত্ব সংশোধনীর কোনো সুফল পাওয়া যাবে না। মেঘালয় ট্রান্সফার অব ল্যান্ড রেগুলেশন অ্যাক্ট ১৯৭১ অনুযায়ী বিস্তীর্ণ জনজাতি অধ্যুষিত জেলাগুলির কোথাও অ-উপজাতিদের দ্বারা ভূমি ক্রয় বা দখল সম্ভব নয়। সুতরাং নাগরিকত্ব বিলে মেঘালয়েরও প্রভাবিত হওয়ার তেমন কিছু নেই। অথচ গারো, খাসি জনজাতিদের সঙ্গে হিন্দু বাঙ্গালিদের সহাবস্থান অনেক পুরানো। ১৮৬৬ সালে ব্রিটিশ শিলং শহরের গোড়াপত্তন করার সময় হিন্দু বাঙালিদের সেখানে নিয়ে আসা হয়। দেশভাগে বিতাড়িত শরণার্থী বাঙ্গালির অবস্থান এ রাজ্যে নগণ্য। আজকের দিনে মেঘালয়ের মোট জনসংখ্যার আণুবিক্ষণিক আটশতাংশ বাঙ্গালিরা কেবলমাত্র শিলং ও তৎসলগ্ন অঞ্চলেই সীমাবদ্ধ। আজও হোলি, রাসলীলা উৎসব উদযাপনের জন্য মণিপুরীরা নবদ্বীপে যান। তাহলে বাংলাদেশ থেকে উচ্ছেদ হওয়া হিন্দু ভাই-বোনদের প্রতি সৌহার্দের পরিবর্তে এতো বিরোধিতা কেন? ২০১১ সালে জনগণনা অনুসারে অসমে জনজাতিদের সংখ্যা প্রতিবেশী রাজ্যগুলির তুলনায় অনেক কম। অসম ও ত্রিপুরার উপজাতি জনগোষ্ঠী সংবিধানের ষষ্ঠ তফশিল দ্বারা সুরক্ষিত এবং সেইসব এলাকা নতুন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের আওতা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তাই কেন্দ্র সরকার অসমে আই এল পি অর্থাৎ ইনার লাইন পারমিট প্রথা বন্ধ করে দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইতিমধ্যে সেটা সঠিক ও সময়োপযোগী। অসম রাজ্যের স্বার্থে কেন্দ্রের মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে একটি মহতী পদক্ষেপ। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিধি এখনও প্রস্তুত হয়নি। বিধিতে কী থাকবে সেটাও স্পষ্ট হয়নি এখনও। তাই ষষ্ঠ তফশিলভুক্ত এলাকায় বাইনার লাইন পারমিটভুক্ত এলাকায় থাকা বাঙ্গালি হিন্দুদের কী হবে, তারা কোথায় এসে নাগরিকত্বের আবেদন জানাবেন, কেমন করে নাগরিকত্ব পাবেন তা নিয়ে দ্বিধা রয়েছে। ইতিমধ্যে ২০১৯ সালের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে সুপ্রিমকোর্টে ৬০-টির মতো মামলা হয়েছে। ওই আইনের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দেশের মধ্যে প্রথম রাজ্য হিসেবে কেরল রাজ্য সরকার দেশের সর্বোচ্চ আদালতে মামলা করেছিল। সুপ্রিমকোর্ট কোনো স্থগিতাদেশ প্রদান করেনি। তাই কেন্দ্রের ওই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিধি তৈরি করে উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব প্রদান করতে কেন্দ্রের কোনো বাধা থাকবে না। কিন্তু এই আধুনিক সমাজব্যবস্থার আমলে ইনার লাইন পারমিট প্রথা চালু থাকা রাজ্যগুলি অনেকটা আর্থিক ও সামাজিক উন্নয়নে পিছিয়ে পড়েবে। অন্যদিকে অসম ও ত্রিপুরাইনার লাইন পারমিট প্রথার প্রচলন না থাকায় উদ্বাস্তুরা নাগরিকত্ব পেতে যেমন সুবিধা পাবেন, তেমনি সেখানকার আর্থিক ও সামাজিক উন্নয়নও ত্বরান্বিত হবে।
উর্মীশ্রী দেব
2020-02-05