দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর থানার ৪নং নন্দনপুর গ্রামে একজন পার্শ্বশিক্ষিকা স্মৃতিকণা দাসকে পা বেঁধে হিঁচড়ে টেনে নিয়ে গেল তৃণমূল উপপ্রধান ও তার দলবল। আক্রান্ত তাঁর মা এবং দিদিও।
গঙ্গারামপুরে মহিলাকে মারধরের ঘটনা উঠল কলকাতা হাইকোর্টে। এ ব্যাপারে আদালতের হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়ে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন এক আইনজীবী।
অবিলম্বে জেলা আইন পরিষেবা কর্তৃপক্ষ DLSA ( District Legal Services Authority)- র রিপোর্ট তলব করেছে আদালত। ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছেন প্রধান বিচারপতি। ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূলের উপপ্রধানকে সাসপেন্ড করেছে দল।
গত ৩১ জানুয়ারির দক্ষিণ দিনাজপুরের নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। জোর করে জমি অধিগ্রহণের প্রতিবাদ করার পরে হাঁটুতে দড়ি দিয়ে বেঁধে তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত নেতার নেতৃত্বে একদল দুষ্কৃতী টেনে হিঁচড়ে এক শিক্ষিকাকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। অভিযোগ, শিক্ষিকার বোন প্রতিবাদ জানাতে এগিয়ে গেলে তাঁর উপরও একই অত্যাচার চলে। মহিলার অভিযোগ, তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত কর্তৃক রাস্তা নির্মাণের জন্য জোর করে তাদের জমি দখলের প্রতিবাদ করেছিলেন তিনি।
রবিবার তৃণমূলের জেলা প্রধান অর্পিতা ঘোষ পঞ্চায়েত নেতা অমল সরকারকে বরখাস্তের নির্দেশ দেন। তবে রবিবার গভীর রাত পর্যন্ত এই মামলায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। রবিবার আক্রান্ত শিক্ষিকা স্মৃতিকণা দাস গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান অভিযুক্ত অমল সরকারের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। এই ঘটনায় তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে রাজ্যজুড়ে। ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছে হাইকোর্ট।
In a horrifying video, a woman is seen tied at her knees with rope and dragged over a country road in West Bengal by a group of men led by a ruling Trinamool Congress panchayat leader. When her sister protests, she too is thrown to the ground and pulled by the arms and abused by the men led by Amal Sarkar.
The women’s crime: they had protested their land being grabbed by the Trinamool-run panchayat for constructing a road.
On Sunday, the Trinamool district chief Arpita Ghosh ordered the suspension of panchayat leader Amal Sarkar from his office.
However, Sarkar has gone missing. Two others have been arrested.
The video of the incident, which was widely shared on social media, shows Smritikona Das in a maroon maxi being beaten, thrown to the ground. A man ties a rope around her knees and another group of people drag her by her arms over the earthen road.
Her older sister Soma Das, who happened to be on the spot, shouts at the men. She too is shoved to the ground and dragged to where her sister is seen lying.
According to the two women, both in their late 20s, they were initially told that the road being built in front of their house would be 12-feet wide. They agreed to give up land for that. But when the panchayat allegedly decided to widen the road to 24 feet – which would mean the loss of much more land – the women objected.
The result: on Friday, at Fata Nagar village in the Gangarampur police station area of South Dinajpur district, around 400 km from Kolkata, when the women objected as bulldozers and road-rollers began work, they met this shocking treatment.
Both women were rushed to hospital. The older sister Soma Das who had objected to the attack on her sister was released after first aid.
Smritikona Das, who was tied at the knees, was released after treatment on Saturday.
On Sunday, Smritikona filed a police complaint, naming the gram panchayat vice chief Amal Sarkar who had directed the attack.
Smrikona Das is a teacher at a nearby high school. She lives with her mother at Fata Nagar who too was reportedly pushed around when she rushed to try save the daughters.