শুক্রবার জম্মু-শ্রীনগর ন্যাশনাল হাইওয়ের উপরে ট্রাক নিয়ে ঢোকার সময় তিন জৈইশ জঙ্গীকে টোল প্লাজায় আটকে দেওয়ার পর শুরু হয় জঙ্গীদের সঙ্গে পুলিশের গুলির লড়াই | তিন জনকে নিকেশ করার পর তাদের থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্র সম্ভার থেকে উঠে এল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য |
যে গ্রেনেড পাওয়া যায় বৃহস্পতিবার হীরানগরের রাস্তার ওই ট্রাকে সেটি চিনে নির্মিত | উদ্ধার হয় পাকিস্তানের তৈরি মরফিন ইঞ্জেকশনও | গ্রেনেড ছাড়াও আরডিএক্স ও ডিটোনেটরের গায়েও চিনের ছাপ পাওয়া যায় | বৃহস্পতিবার কাঠুয়ার কাছে এই জঙ্গীরা অনুপ্রবেশ করছিল বলে মানতে চাইনি বিএসএফ কর্তারা |
বা দয়ালচকের ওই রাস্তা ধরে তারা অনুপ্রবেশের চেষ্টা বাড়াবে বলেও কোন খবরের সত্যতা স্বীকার করেনি সীমান্তরক্ষীরা | তবে দুই প্রতিবেশী দেশের তৈরি অস্ত্র জঙ্গীরা ব্যবহার করায় সরাসরি প্রশ্ন উঠছে ভারতের উপত্যকায় অশান্তি তৈরিতে মদত দেওয়ার প্রত্যক্ষ চেষ্টার |
অন্যদিকে রেডিও পাকিস্তানে সম্প্রচারিত একটি সাংবাদিক বৈঠকে দেখা যায়, ইসলামাবাদে স্থিত আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিকদের ডেকে নিয়ে ভারতের কাশ্মীরে সংখ্যালঘু মুসলিমদের দমিয়ে রাখা হয়েছে বলে প্রচার করতে অনুরোধ করেন ইমরান খানের বিশেষ সচিব |
চিনকেও সাম্প্রিতক কালে পাকিস্তানের সঙ্গে অন্যান্য দেশের ব্যবসায়িক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য বিশেষ আর্জি জানাতে দেখা গিয়েছিল | বৃহস্পতিবারের এই প্রমাণ আন্তর্জাতিক মহলে এই দুই দেশের দ্বিমুখী অবস্থানকে স্পষ্ট করবে বলে মত পর্যবেক্ষকদের |