হোলে আর্টিসান ক্যাফে মামলায় মূল অভিযুক্ত সালাউদ্দিন ওরফে সেলহান পশ্চিমবঙ্গে আত্মগোপন করে রয়েছে | এনআইএ-র সাম্প্রতিক অতীতের তদন্তে সেই তথ্যই উঠে এসেছে বলে সূত্রের খবর | এনআরসি লাগু করা হবে কিনা তা নিয়ে যখন আলোড়িত সমাজ, সে সময় এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আরেকবার এনারসির যৌক্তিকতার হয়ে জোরালো সওয়াল করল |
কারণ শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তে যেখানে অবৈধ বাংলাদেশির বাস বেশি তেমন গ্রামকেই নিজের অস্থায়ী আস্তানা বানিয়েছে এই বর্ধমান বিস্ফোরণের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড | হন্যে হয়ে খোঁজা এই জামাত টপ মোস্ট জঙ্গী বারবার পুলিশ ও তদন্তকারী আধিকারিকদের হাত থেকে ফসকে গেছে | মুর্শিদাবাদ, কোচবিহার, মালদহ,এমনকি নদীয়ার সংখ্যালঘু অধ্যুষ্যিত গ্রাম গুলিতে ধর্মীয় প্রচারকে কাজ নিয়ে সালাউদ্দিন যুক্ত ছিল বিভিন্ন মাদ্রাসার সঙ্গে |
এ রাজ্য ছাড়া, দক্ষিণ ভারতে কর্ণাটক ও কেরালায় বাঙালি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অসংগঠিত শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার খবরও মিলেছে | বাংলাদেশের এক ব্যবসায়ী যে কিনা সৌদিতে কর্মসূত্রে পাকাপকিভাবে বসবাস করছেন,তার কাছ থেকে মোটা আর্থিক সাহায্য পেয়ে থাকে বাংলাদেশের জামাত উল মুজাহিদিন প্রয়োজনীয় অস্ত্র সম্ভার কেনার জন্য |
প্রসঙ্গত,এই জঙ্গীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আদালতে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করলে সে ফেরার হয় দেশ থেকে | তারপর থেকেই এই রাজ্যের নানা জায়গায় আত্মগোপন করে রয়েছে সালাউদ্দিন | এই তথ্য সামনে আসার আগেই কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের প্রতি কড়া মনোভাব নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যার বিরোধীতা করে পথে নেমেছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় | এনআইএ-র সামনে আসা এই তথ্যের পরেও কি একই অবস্থান থাকবে রাজ্যের শাসক দলের | প্রশ্ন এনআরসির সমর্থকদের |