১৫ ফেব্রুয়ারি পতাকা নাড়িয়ে উদ্বোধন। ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে যাত্রা শুরু করেছিল দেশের প্রথম ইঞ্জিনবিহীন দ্রুততম সেমি হাইস্পিড ট্রেন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। তার পর থেকেই শুরু হয়েছিল নানা উপদ্রব। কখনও ট্রেন লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া, কখনও ট্রেনের চাকার নীচে গরু ইত্যাদি ঘিরে বারে বারেই থমকেছে বন্দে ভারতের যাত্রা। ভোটের আগে ট্রেনের সুরক্ষা তাই কয়েকগুণ বাড়াতে তৎপর হল ভারতীয় রেল। পাথর ছোড়া-সহ আনুসঙ্গিক বিপত্তি এড়াতে তাই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস-এর জন্য গঠন করা হলো বিশেষ বাহিনী।
রেল সূত্রে খবর, বিশেষ ওই বাহিনীতে থাকবে জিআরপি এবং আরপিএফ জওয়ান। ২৪ ঘণ্টা ট্রেনের উপর নজরদারির চালানোর জন্য থানা ও পুলিশ ফাঁড়িতেও থাকবে বিশেষ দল। ইলাহাবাদের এসপি (রেলওয়েজ) হিমাংশু কুমার জানিয়েছেন, উপদ্রুত এলাকাগুলিতে বিশেষভাবে নজরদারি চালানো হচ্ছে। সাদা পোশাকেও পুলিশ থাকবে যত্রতত্র। তাঁর কথায়, “আমরা ঠিক করেছি কানপুর থেকে বারাণসী রুটে বিশেষ কড়া নজর রাখা হবে।” এসপি বলেছেন, উপদ্রুত এলাকাগুলিতে বিশেষ নজর রাখার জন্য এক জন সাব-ইনস্পেক্টরের অধীনে দু’জন হেড কনস্টেবল ও চার জন কনস্টেবলের একটি দল তৈরি করা হয়েছে।
যাত্রা শুরুর প্রথম দিনই যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিপত্তি দেখা দেয় ট্রেনে। তার পর ট্রেন লক্ষ্য করে একাধিক বার পাথর ছোড়া হয়েছে। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি, উত্তরপ্রদেশের আছালদার কাছে ট্রেনের জানলায় ছিটকে এসে পড়ে বেশ বড়সড়ো কয়েকটি পাথর। প্রথমে হকচকিয়ে গেলেও পরে বোঝা যায় যে রেললাইন থেকেই ওই পাথরগুলি ছিটকে এসে লেগেছে ড্রাইভারের জানলার কাচে। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্রধান চালকের সামনে থাকা কাঁচের স্ক্রিন এবং তার পাশের জানালা।
ট্রেনের উপর নজরদারি চালানোর পাশাপাশি যাত্রী সুরক্ষার দিকটাও বিশেষ ভাবে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন এসপি হিমাংশু কুমার।