গোটা বিশ্বে এখন দক্ষিণপন্থী জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক মতাদর্শগুলির জয়জয়কার। সে ভারতে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন হিন্দু জাতীয়তাবাদই হোক বা ট্রাম্পের আমেরিকা, ব্রিটেনে বরিস জনসনের কনজারভেটিভ পার্টিই হোক বা ফিলিপিনসে দুতের্তের সরকার, ব্রাজিলে জের মেসিয়াস বলসোরানোই হোন বা গ্রীসে নতুন দক্ষিণপন্থী সরকার, এখন দক্ষিণপন্থীরাই কিছুদিন দুনিয়া শাসন করবেন বলে মনে করছেন বিশ্বের তাবড় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা । তবে দেশে দেশে এই দক্ষিণপন্থীদের সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়াতে বাড়ছে জাতিবিদ্বেষ। আর সেই বিদ্বেষের মূল কারণ হল মুসলিম মৌলবাদীরা, এমনই মনে করেন বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত লেখিকা তাসলিমা নাসরিন ।
বৃহস্পতিবার ফেসবুকে করা একটি পোষ্টে এমনই মত প্রকাশ করলেন বর্তমানে সুইডেনের পাসপোর্টধারী ভারতে বসবাসকারী এই লেখিকা। কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন দীর্ঘদিন ধরে ধর্মের দোহাই দিয়ে নারীদের পর্দার ভিতরে রেখে দেওয়া, অমুসলিমদের প্রতি অসহিষ্ণুতা, ধর্মনিরপেক্ষতা না মানা, মুক্তচিন্তক মুসলিমদের টিকতে না দেওয়া, অশিক্ষা এবং অবিজ্ঞানকে প্রশ্রয় দেওয়া,ইত্যাদি কারণগুলিই দায়ী। সে সঙ্গে তাঁর আরও দাবী মুসলিমদের মুক্তচিন্তায় বাধা দেওয়ার বিপক্ষে কোনো বিরোধিতা না করে যুগে যুগে মুসলিম শাসকরা এবং পরবর্তীকালে বামপন্থী বুদ্ধিজীবিরাই তাদের অন্ধাকারে রেখে দিয়েছেন ।
অভিযোগের পাশাপাশি তিনি বলেছেন এর থেকে মুক্তির উপায়ও। মুসলিমদের বেশি করে উদার হওয়া, সবকিছুতে ধর্মের জিগির বন্ধ করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। সে সঙ্গে পরমতসহিষ্ণু হওয়া, জীবনের সব ক্ষেত্রে ধর্মীয় আইন বাতিল করা, নারীর সমানাধিকার প্রতিষ্ঠা করা এবং ধর্মনিরপেক্ষ চিন্তাধারাকে আগামী দিনে প্রাধান্য দিতে হবে বলে মত, দীর্ঘদিন ধর্মীয় মৌলবাদ এবং নারীবৈষম্যের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা এই লেখিকার