এসএসসি অনশনকারীদের মেয়ো রোড থেকে উঠে যাওয়ার নির্দেশ দিল পুলিশ। শনিবার কলকাতা পুলিশের একটি বিশেষ দল গিয়ে, সেনাবাহিনীর একটি চিঠি দেখিয়ে অনশনকারীদের ওই জায়গা ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে। অনশনকারীদের অভিযোগ, একটি চিঠির ফটোকপি দেখিয়ে কার্যত হুমকি দিয়েছে পুলিশ। কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে নাকি অনশনকারীদের বলা হয়েছে, জায়গা না ছেড়ে দিলে তুলে দেওয়া হবে।
তবে পুলিশের ‘হুমকি’তেও অনড় অনশনকারীরা। তাঁদের স্পষ্ট বক্তব্য, “যা পারে করে নিক। দাবি না মিটলে এখানেই বসে থাকব।” তাঁদের কথায়, “সেনাবাহিনীর একটি চিঠির ফটোকপি দেখিয়ে বলছে উঠে যেতে। আমরা দেখলাম, প্রেস ক্লাবের সামনে এতজন এতদিন ধরে কেন বসে আছেন, সে ব্যাপারে সেনাবাহিনী পুলিশের কাছে জানতে চেয়েছে। আর ওই চিঠি নিয়ে এসে আমাদের হুমকি দিচ্ছে পুলিশ।”
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে কলকাতা পুলিশের ডিসি (সাউথ) মিরাজ খালিদ বলেন, “আমরা ওঁদের ওখান থেকে উঠতে বলেছি। জায়গা ছেড়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এখন দেখি ওঁরা কী করেন। তারপর আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।”
২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে অনশন করছেন এসএসসি উত্তীর্ণরা। শুরু হয়েছিল ৪৫০ জন নিয়ে। কিন্তু তা এখন এসে ঠেকেছে ২০০তে। কেউ অসুস্থতার কারণে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন, কেউ আবার হাসপাতালে। শনিবার বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু অনশনকারীদের সঙ্গে দেখা করেন। বিমানবাবুর সঙ্গে কথা বলার সময়ই হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন তানিয়া শেঠ নামের এক অনশনকারী। সঙ্গে সঙ্গেই সেখানে উপস্থিত বাকি আন্দোলনকারীরা তানিয়াকে নিয়ে যান এসএসকেএম হাসপাতালে। টানা আন্দোলনের ধকলেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তানিয়া, এমনটাই জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
ইতিমধ্যেই অনশনকারীদের সংহতি জানিয়েছেন কবি শঙ্খ ঘোষ। সমাজের বিভিন্ন জগতের বিশিষ্টরা পাশে দাঁড়িয়েছেন অনশনকারীদের। শুক্রবার সেখানে যান কবি মন্দাক্রান্তা সেনও। কিন্তু এ দিন পুলিশের এই বার্তা তাঁদের জেদ আরও বাড়িয়ে দিল বলেই মনে করছেন অনশনকারীরা। এখন দেখার পুলিশ কী পদক্ষেপ নেয়, এবং কী করেন অনশনকারীরা।
২৪ তম দিনে অনশন মঞ্চ থেকে দ্য ওয়াল-এর লাইভ। দেখুন