কলকাতা প্রেস ক্লাবকে রাজনীতির কবল মুক্ত করার আহ্বান এলো প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষকে সম্বর্ধনা জানানোর একটি অনুষ্ঠান ছিল। সেখানেই ক্লাব সভাপতি স্নেহাশীস সুরের সামনে চার্লস নন্দী নামে এক বরিষ্ঠ সম্পাদক মঞ্চ থেকেই ক্লাবে রাজনীতি নিয়ে সরব হন।
দিলীপবাবুর সাংবাদিক সম্মেলনের আগে চার্লস তার ভাষণে বলেন, কিছুকাল আগে ক্লাবের ৭৫ বছর উদযাপন উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সেই সময় আমি কর্তৃপক্ষকে বলেছিলাম রাজ্যপাল যেহেতু রাজ্যপ্রধান, তাঁকেও আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানানো হোক। আমার আবেদন গ্রাহ্য হয়নি। বরং কিছু নেতিবাচক মন্তব্য শুনতে হয়েছিল। কী কথা শুনেছিলাম সেটা আর এখানে বললাম না। এর পরেই তিনি বলেন ক্লাবের অনেক সদস্য রাজনীতিকরণের প্রভাবে বিরক্ত। এই পরিস্থিতি দূর হলে ভালো হয়।
উল্লেখ করা যেতে পারে ২০১৮-তে এই ক্লাবের নির্বাচনে সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতেন মুখ্যমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ সাংবাদিক কিংশুক প্রামাণিক। কিন্তু গত সেপ্টেম্বর মাসে ক্লাবের নির্বাচনে ওই পদে তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান চার্লস। এর পরে চর্লস আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে নাম লেখান। মঙ্গলবার দিলীপবাবুর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনিই ছিলেন ব্যবস্থাপক।
ক্লাবের এক বরিষ্ঠ সদস্য অবশ্য দাবি করেন, রাজ্য সরকারের সঙ্গে ক্লাবের সভাপতি, সম্পাদকের একটা নিবিড় সম্পর্ক থাকাটা জরুরি। বরাবরই সেটা হয়ে এসেছে। এমন নয় যে এই পরিস্থিতি কেবল হালেই হচ্ছে। রাজ্য সরকারের কাছ থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নানাবিধ সহযোগিতা পায় ক্লাব। তাই পরোক্ষে রাজনীতিকরণের একটা প্রভাব কমবেশি এসে পড়ে।