সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নেতৃত্ব দেওয়ার অপরাধে বিহার থেকে গ্রেফতার করা হল জেএনইউ পড়ুয়া তথা গবেষক সারজিল ইমামকে।
বিহার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে উত্তাল দেশ। পড়ুয়াদের পাশাপাশি এই আইনের বিরুদ্ধে গলা তুলেছেন একাধিক গুণীজন। আর দিল্লির শাহিনবাগে আন্দোলনের সময়ে উসকানিমূলক মন্তব্য করার কারণে তার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয়েছিল আগেই।
সোশাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়োর ভিত্তিতে শারজিল ইমামের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করার অভিযোগ এনে মামলা করেছিল অসম সরকার। সেই ভিডিওটিতে শারজিলকে বলতে দেখা গিয়েছিল, ‘অসমকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করা উচিত। অসমে মুসলমান ও বাঙালিদের খুন করা হচ্ছে। অসমের বাংলাভাষীদের ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হচ্ছে। তাই রেললাইন বিচ্ছিন্ন করে ভারত থেকে অসমকে আলাদা করতে হবে।’
শারজিলের এই ভিডিওটি ভাইরাল হতেই তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করে অসমের সর্বানন্দ সোনওয়ালের সরকার। উসকানি ও প্ররোচনামূলক মন্তব্যের অভিযোগ আনা হয় শারজিল ইমামের বিরুদ্ধে। দেশদ্রোহিতার মামলা রুজু করে অসমের বিজেপি সরকার। অবশেষে তাঁকে বিহার থেকে গ্রেফতার করা হয়।
তাকে খোঁজার জন্য পাঁচটি রাজ্যে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। দিল্লি, বিহার এবং উত্তরপ্রদেশ পুলিশের একটি বিশেষ দল অন্যান্য রাজ্যতে গিয়েও তার খোঁজ করেছিল। আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল শারজিলের ভাইকে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই শারজিল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জোগাড় করেছিল পুলিশ আধিকারিকেরা। তারপরেই গ্রেফতার করা হয় এই শারজিলকে।
দিল্লির শাহিনবাগ আন্দোলনের অন্যতম উদ্যোক্তা হিসেবে তুলে ধরা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু বিক্ষোভকারীদের মধ্যে থেকে জানিয়েছেন ওই বিক্ষোভের কোন উদ্যোক্তা নেই।