ফলনের অপচয় হ্রাস করাই সরকারের অগ্রাধিকার : প্রধানমন্ত্রী

কৃষক এবং উপভোক্তাদের মধ্যে প্রত্যক্ষ সম্পর্ক স্থাপন এবং ফলনের অপচয় হ্রাস করাই কেন্দ্রীয় সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার| এ জন্য সরকার পরম্পরাগত কৃষিকে প্রসারের লক্ষ্যে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গেই কাজ করছে| মঙ্গলবার ভিডিও কনফারেন্সিং মারফত গুজরাটের গান্ধীনগরে আয়োজিত বিশ্ব আলু সম্মেলন-এ এমনই মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী| ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘কৃষকরা যাতে উত্পাদিত ফসলের ন্যায্য দাম পান এবং উপভোক্তাদের উপরও যাতে কোনও রকম বোঝা না বাড়ে, এজন্য মধ্যস্বত্বভোগীদের ভূমিকা হ্রাস করার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার|’বিশ্ব আলু সম্মেলন, ২০২০-র উদ্বোধনী বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা এখানে এসেছেন, হাজার হাজার কৃষক বন্ধু এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডাররা জড়ো হয়েছেন| আগামী তিন দিন আপনারা সকলে গোটা বিশ্বের আহার এবং পুষ্টির সঙ্গে সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলি নিয়ে আলোচনা করবেন| এই সম্মেলনের প্রধান বিষয় হল এই যে-এখানে আলু সম্মেলন, এগ্রো এক্সপ্রো এবং আলু ক্ষেত্র-তিনটি বিষয় একইসঙ্গে অনুষ্ঠিত হচ্ছে| এই সম্মেলনে প্রায় ৬ হাজার কৃষক ফিল্ড ডে-র অংশ হিসেবে কৃষিজমিতে যাবেন| যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়|
কৃষক স্বার্থে গৃহীত কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন জনকল্যাণ মূলক কাজ সম্পর্কে ব্যাখ্যা করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় যাতে দ্বিগুণ হয় সেই লক্ষ্যে দ্রুততার সঙ্গে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে| কৃষকদের প্রচেষ্টা এবং সরকারের নীতির ফলেই, কৃষকদের ফসল এবং অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী উত্পাদনে ভারত বিশ্বের শীর্ষ তিনটি দেশের মধ্যে রয়েছে| প্রধানমন্ত্রী এদিন আরও বলেছেন, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের সঙ্গে যুক্ত ক্ষেত্রকে উন্নীত করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারও বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে| প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিশেষ প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে|
প্রধানমন্ত্রীর কথায়, চলতি মাসের শুরুতেই, এক সঙ্গে ৬ কোটি কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১২ হাজার কোটি টাকা পাঠিয়ে রেকর্ড তৈরি করা হয়েছে| কৃষি প্রযুক্তি ভিত্তিক স্টার্ট আপগুলি প্রচারের ক্ষেত্রেও জোর দিয়েছে সরকার| যাতে স্মার্ট ও নির্ভুল কৃষির জন্য প্রয়োজনীয় কৃষকদের ডাটাবেস এবং এগ্রি স্ট্যাকের ব্যবহার করা যায়| পাশাপাশি কৃষিক্ষেত্রে প্রতিটি নতুন প্রযুক্তি কীভাবে আরও ভালভাবে ব্যবহার করা যায় সে সম্পর্কে আপনাদের পরামর্শ এবং সমাধানগুলি গুরুত্বপূর্ণ হবে|সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধি, বিজ্ঞানী এবং কৃষকদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, একবিংশ শতাব্দীতে কেউ যাতে ক্ষুধার্ত এবং অপুষ্টির শিকার না হন, এই দায়িত্বও আপনাদের সকলের কাঁধে| প্রধানমন্ত্রী আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানিয়েছেন, আগামী তিন দিন সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হবে বলেই মনে করছি| প্রধানমন্ত্রী এদিন আরও বলেছেন, দিল্লি বাইরে আলু সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যা খুবই ভাল| আলু উত্পাদনের ক্ষেত্রে ভারতের মধ্যে শীর্ষস্থানীয় রাজ্য হল গুজরাট, তাই গুজরাটে আলু সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে|

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.