কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী এ দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা কমপক্ষে বারো জন | যার মধ্যে মুম্বইয়ে একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে | অন্যদিকে চিনে আটকে পড়া ভারতীয় পড়ুয়াদের চিন ছেড়ে বেরোতে দেওয়া হবে না বলেই জানিয়েছে প্রশাসন | কিন্তু এত লোক আটকে পড়ায় সেখানে প্রযাপ্ত জল ও খাদ্যের যোগান নেই বলেই জানাচ্ছে পড়ুয়ারা | সেই পড়ুয়াদের মধ্যে রয়েছে এ রাজ্যের পড়ুয়াও | শুধু পড়ুয়া নন, রয়েছে কর্মরত কিছু মানুষও| প্রোজেক্টের কাজে গিয়েছেন যারা তারও সমানভাবে বিপদে |
সেখানে গিয়ে কার্যত গৃহবন্দী হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের কালিবাজার এলাকার বাসিন্দা সাম্য কুমার রায়। একাধিকবার গিয়েছেন চিনে | কর্মসূত্রে | ২০১৮সাল থেকে নিয়মিত থেকেছেন সেখানে | কিন্তু এবারের যাত্রা যে এত ভয়াবহ হবে তা তিনি ও তার পরিবার কেউই স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি | ২১ শে জানুয়ারী তিনি চিনের উদ্দেশ্যে বর্ধমান থেকে রওনা হয় ২২শে জানুয়ারী চিনে পৌঁছায়| তখন থেকেই শুরু হয় নতুন এই করোনা ভাইরাসের উপদ্রব | কার্যত তারপর থেকেই গৃহবন্দী সাম্য ।
পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন তিনি | বাবার কথায়,চিনে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলেন তিনি | তারা চিন্তা করতে না বলেই খালাস বলে অভিযোগ সাম্যর বাবার | সাম্যকে খাোয়ার যোগাচ্ছেন এক প্রতিবেশি | ভাত আর মাসুরুম খেয়েই দিন গুজরান করছেন সে | কিন্তু তাও বা কমদিন | রসদ সীমিত ওই মহিলারও | তাই দুশ্চিন্তায় পরিবার | বাবা সুজিত রায়ের আবেদন একটাই ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে আসুক | বিদেশ মন্ত্রকের সাহায্য না চাইলেও চান রাজ্য সরকার উদ্যোগী হোন রাজ্যের পড়ুয়া ও কর্মরত বাঙালিদের দেশে ফেরাতে |