দেশে থাকলে তিনি নোবেল পেতেন না। প্রজাতন্ত্র দিবসে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন নোবেল জয়ী অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সাহিত্য সম্মেলনে তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
প্রসঙ্গত, অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম এবং পড়াশোনা কলকাতায়। প্রথমে সাউথ পয়েন্ট স্কুল পরে প্রেসিডেন্সি কলেজে অর্থনীতি নিয়ে ভরতি হন। সেখান থেকে ১৯৮১ সালে অর্থনীতিতে বি.এস ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে ১৯৮৩ সালে দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এম.এ পাশ করেন। ১৯৮৮ সালে পিইচডি করার জন্য ভরতি হন ইংল্যান্ডের হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ে। বর্তমানে তিনি আমেরিকার বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান এমআইটির ফুড ফাউন্ডেশনের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
অভিজিতের কথায়, “ভারতে যোগ্যতার অভাব নেই। কিন্তু সঠিক কার্য প্রক্রিয়া দরকার।” উল্লেখ্য, অর্মত্য সেনের পর ২০১৯ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পান তিনি। বিশ্বব্যাপী দারিদ্র দূরীকরণের জন্য বিরল গবেষণা করে অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যৌথভাবে এই পুরস্কার পেয়েছেন তাঁর স্ত্রী এসথার ডাফলো ও মাইকেল ক্রেমার। তবে অভিজিৎ-এর মন্তব্যকে কটাক্ষ করেছেন সমালোচকরা৷ তাদের বক্তব্য, “নোবেলজয়ী কি তাহলে মেনেই নিলেন, তিনি ভারতীয় নন!”
এদিন দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে নোবেলজয়ী বলেন, ভারত যে পরিস্থিতিতে রয়েছে, সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে নেওয়া যাবে। তবে সময় লাগবে অনেকটা৷ যার আগে ব্যাঙ্কিং সেক্টরে বিনিয়োগের বার্তা দেন অভিজিৎ।
দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে , অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন যে , দেশে একটি পোক্ত বিরোধী রাজনৈতিক দলের খুব প্রয়োজন। গণতন্ত্রের ‘হৃদপিণ্ড’ হয় বিরোধী রাজনীতিকরা।