গত ৮ থেকে ১০ মার্চ গোয়ালিয়রে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভার বৈঠক হয়ে গেল। এই বৈঠকে সরকাৰ্যবাহ শ্রী সুরেশজী (ভাইয়াজী) যোশী প্রদত্ত বিবরণ অনুসারে, সারা দেশে এখন ৩৭০১১ স্থানে ৫৯২৬৬ শাখা, ১৭২২৯ স্থানে সাপ্তাহিক মিলন এবং ৮৩২৮ স্থানে সঙ্ঘমণ্ডলী চলছে। প্রতি বছরের মতো বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশ ও জাতির পক্ষে কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে কেন্দ্র করে এবছরও প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। এবারে আমাদের দেশের পরিবার ব্যবস্থা ও পরম্পরাকে কেন্দ্র করে দুইটি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। এই দুইটি প্রস্তাব পুরোপুরি এখানে প্রকাশ করা হলো :
মানবিক মূল্যবোধের প্রতি আমাদের সমাজের মহার্ঘ্য অবদান ভারতীয় পরিবার প্রথা। মূলত এর স্বাতন্ত্র্য হিন্দু পরিবারের কার্যকারিতাকে ব্যক্তি থেকে জাতি (‘নেশন’ অর্থে ব্যবহৃত)-র দিকে অভিযাত্রায় সেতুবন্ধনীর কাজ করে, যা কালক্রমে ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’-এর গন্তব্যে পৌঁছে যায়। সামাজিক ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি একদিকে যেমন সম্পূর্ণ সুরক্ষা প্রদান করে, অন্যদিকে তেমন নতুন প্রজন্মের মধ্যে সংস্কার বদ্ধমূল করে দিতে এবং মূল্যবোধের জন্ম দিতেও গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বহুমুখী চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন হিন্দু সমাজই হলো তার শাশ্বত অস্তিত্বের মুখ্য কারণ এবং এই পরিবার-প্রথা এর অন্যতম কার্যকরী ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র।
আমাদের পরিবার প্রথা যা ভারতবর্ষের পুণ্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে একদা মূর্ত করেছিল, বর্তমান সময়ে তা কিছুটা অসংহত অবস্থায় রয়েছে। আত্মকেন্দ্রিকতা ও ভোগবাদী মানসিকতার প্রভাব ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়া আমাদের পরিবার প্রথার ভাঙনের মুখ্য কারণ। ভোগবাদী চিন্তাসর্বস্বতা আত্মকেন্দ্রিকতা, উগ্রস্বভাব, অনিয়ন্ত্রিত ইচ্ছা, সীমাহীন লোভ, মানসিক চাপ, বিবাহ বিচ্ছেদ ইত্যাকার নানাবিধ সমস্যার বৃদ্ধি করেছে। বর্তমান সময়ে আমাদের যৌথ পরিবার এক দম্পতি পরিবার (নিউক্লিয়ার ফ্যামিলি)-এ পরিণত হয়েছে। খুব অল্প বয়স থেকেই ছেলেমেয়েদের ছাত্রাবাসে রাখবার প্রবণতা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। পরিবারের সঙ্গে সুখ-দুঃখের অনুভূতি ভাগ করে নেওয়ার অক্ষমতায় আজকের প্রজন্মের মধ্যে একাকীত্বের সৃষ্টি হচ্ছে। এর ফলে মাদক সেবন, হিংসা, নৃশংস অপরাধ এবং আত্মহত্যার ঘটনা চূড়ান্ত জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। পরিবারের সামাজিক নিরাপত্তার অভাবে বৃদ্ধাবাসের ক্রমশ সংখ্যাবৃদ্ধি, পরিস্থিতিকে উদ্বেগবহ করে তুলেছে।
অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা এমতাবস্থায় তার দৃঢ় সিদ্ধান্ত জানাচ্ছে যে আমাদের পরিবার প্রথাকে সচল ও তার মূল্যবোধভিত্তিক চরিত্রকে বজায় রাখতে হলে প্রয়োজনীয় ও প্রভুত প্রয়াস নিতে হবে। নিজেদের দৈনন্দিন ব্যবহার ও আচরণের মধ্যে দিয়ে এটা নিশ্চিত করা দরকার যে আমাদের পরিবার-জীবন-চরিত্রগঠন, জীবনবোধ পুরিপুষ্টিতে এবং পারস্পরিক সম্পর্কের সুদৃঢ়করণে বিশেষ কার্যকরী। পরিবার-জীবন অত্যন্ত সুখী ও আনন্দিত হয়ে ওঠে পরিবারের সকলের একসঙ্গে বসে আহারে, ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনায়, উৎসব উদযাপনে একসঙ্গে তীর্থভ্রমণে, মাতৃভাষার ব্যবহারে এবং স্বদেশীর তাগিদে পরিবার ও সামাজিক ঐতিহ্যের সুরক্ষা ও উৎকর্ষতায়। পরিবার ও সমাজ একে অপরের পরিপূরক। সামাজিক দায়বদ্ধতার বোধ গড়ে তোলা, সামাজিক, ধর্মীয় কিংবা শিক্ষার ব্যাপারে ও গরিবকে সাধ্যমতো সাহয্যের ক্ষেত্রে অবদানের স্বাক্ষর রাখাই আমাদের পরিবারের চরিত্র হওয়া প্রয়োজন।
আমাদের পরিবার প্রথায় মা হলেন মেরুদণ্ড। মাতৃশক্তির প্রতি যথোচিত সম্মান প্রদর্শনের বিষয়টি পরিবারের প্রতিটি সদস্যের মনে গেঁথে দেওয়া প্রয়োজন। সম্মিলিত ভাবে কোনও বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ আমাদের পরিবারের নীতি হওয়া দরকার। পারিবারিক আলোচনায় অধিকার ফলানোর চেয়ে কর্তব্যের বিষয়টিরই অধিকতর প্রাধান্য পাওয়া দরকার। কারোর নিজের কর্তব্য পালন না করাই অন্যের অধিকার সুরক্ষিত করে।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কিছু বিচ্যুতি ও গোঁড়ামি আমাদের সমাজে থাবা বসিয়েছে। পণপ্রথা, অস্পৃশ্যতা, বিভেদ, অনাবশ্যক আড়ম্বর ও বেহিসেবি খরচ, কুসংস্কার ইত্যাদি আমাদের সমাজের সার্বিক উন্নয়নে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সমগ্র সমাজের কাছে তাই অখিল ভারতীয় প্রতিনিধিসভা আহ্বান জানাচ্ছে, এই দুষ্টক্ষত ও অনভিপ্রেত বিষয়গুলিকে নির্মূল করার জন্য সর্বতোভাবে প্রয়াসী হতে এবং মূল্যবোধভত্তিক ও সম্প্রীতিময় সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে প্রয়াসী হতে, যার সূচনাটুকু হতে পারে আমাদের নিজেদের পরিবার থেকেই।
পূজ্য সাধু-সন্তগণ এবং সামাজিক, ধর্মীয়, শৈক্ষিক ও বৌদ্ধিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানগুলিরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে আমাদের সামাজিক উন্নতিতে। প্রতিনিধি সভা তাদের কাছেও অনুরোধ জানাচ্ছে যে বর্তমান পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করে পরিবার নামক প্রতিষ্ঠানটিকে শক্তিশালী করতে তারাও যেন সদর্থক ভূমিকা নেন। সংবাদ মাধ্যমের বিভিন্ন মঞ্চও সমাজে মূল্যবোধ জাগরণের ক্ষেত্রে কার্যকরী যন্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।
প্রতিনিধি সভা সংশ্লিষ্ট বিশিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে আবেদন জানাচ্ছে তারা যেন চলচ্চিত্র নির্মাণ ও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে আমাদের পরিবার প্রথার শিকড়টিকে আরও শক্তিশালী করবার এবং নতুন প্রজন্মকে উজ্জ্বলতর ভবিষ্যতের সামনে এনে দাঁড় করাবার বার্তা দিতে সক্ষম হন। প্রতিনিধি সভা একইসঙ্গে সমস্ত সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছে যে তারাও যেন পরিবার প্রথাকে সমৃদ্ধ করার প্রয়োজনীয়তা সদর্থকভবেই অনুভব করেন, যাতে করে শিক্ষানীতি ও পরিবারভিত্তিক আইন প্রণয়নে উদ্যোগী হতে পারেন।
পরিস্থিতির বাধ্যবাধকতায় যাঁরা একক দম্পতি পরিবারে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন, তাদের কর্তব্য মূল পরিবারের সঙ্গে সংযোগ অব্যাহত রাখা এবং সময়-সুযোগ অনুযায়ী কিছুদিন বাদে বাদে মূল পরিবারের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সময় কাটিয়ে আসা। পরিবারের প্রাচীন উৎপত্তিস্থানের সঙ্গে সংযোগ আসলে শিকড়ের সঙ্গে যোগাযোগই অব্যাহত রাখে। পারিবারিক মিলনোৎসবের আয়োজন কিংবা পরিবারের কোনও কর্ম-প্রকল্পের দায়িত্বও তাঁদের পালন করা উচিত। শিশুদের আবশ্যিক শিক্ষাও যত্নসহকারে পারিবারিক পরিবেশ ও সামাজিক বন্ধনের মধ্যেই হওয়া উচিত। বিভিন্ন গোষ্ঠীগত উৎসব আয়োজন এবং আমাদের বসবাসের এলাকায় বিভিন্ন অনুষ্ঠান বৃহত্তর পরিবারের ধারণাটি মানবমনে গেঁথে দেওয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত দরকারি। কিশোর ও যুবকদের ভারসাম্যযুক্ত উন্নতিতে ‘বাল-গোকুলম’ বা ‘সংস্কারবর্গ’-এর মতো কার্যসূচির উদ্যোগ নেওয়া বিশেষ জরুরি।
ত্যাগ, সংযম, ভালোবাসা, স্নেহ, সহযোগিতা ও পারস্পরিক সৌহার্দ্য ভিত্তিক জীবনই হল সুখী পরিবারের মূল ভিত্তিপ্রস্তর। পরিবারে এই সমস্ত গুণের সমাহার একটি সুখী জীবনের যাবতীয় উপাদানের জন্ম দেয়। অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা স্বয়ংসেবক-সহ সমগ্র সমাজের কাছে, বিশেষ করে আধুনিক প্রজন্মের কাছে আহ্বান জানাচ্ছে যে আমাদের পরিবার প্রথাকে আর ও প্রাণবন্ত, স্পন্দিত ও মূল্যবোধ-কেন্দ্রিক করে তুলতে তারা যেন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা না করেন।
প্রস্তাব-২ হিন্দু সমাজের পরম্পরা ও বিশ্বাসের সুরক্ষা প্রয়োজন
অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা সবদিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে হিন্দু বিশ্বাস ও পরম্পরাকে অপমান ও আঘাত করার পরিকল্পিত নকশা তৈরি হয়েছে কায়েমি স্বার্থের ভিত্তিতে অ-ভারতীয় পরিপ্রেক্ষিতকে প্রতিষ্ঠার তাগিদে।
হিন্দুত্ব কোনও একশলাকা যন্ত্র নয় বা একচেটিয়া অধিকার সম্পন্ন ধর্ম নয়। কিন্তু বৈচিত্র্য ও সাংস্কৃতিক বহিঃপ্রকাশের বিবিধ পন্থার মধ্যে জীবনের দর্শন খুঁজে পাওয়ার মাধ্যম, বিভিন্ন উপাসনা-পদ্ধতি, স্থানীয় ঐতিহ্য ও পরম্পরা, লোক-সংস্কৃতি উৎসব ইত্যাদি স্বতন্ত্রতার মধ্য দিয়ে যার নির্মাণ সম্ভব হয়েছে। এটা অত্যন্ত বিসদৃশ হবে যদি আমাদের সনাতন পরম্পরার বৈচিত্র্যের সৌন্দর্যের ওপর গতানুগতিক সমান ব্যবস্থাকে বলপূর্বক চাপিয়ে দেওয়া হয়।
হিন্দু সমাজ সবসময়ই তার রীতি-নীতির প্রয়োজনীয় ও সময়েচিত সংস্কারকে স্বাগত জানায়। কিন্তু এই ধরনের প্রয়াস নেওয়ার ক্ষেত্রে সামাজিক, ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক নেতৃত্ব এবং জনসচেতনতার শিকড়কেই মুখ্যত প্রাধান্য দেওয়া উচিত। এটি কেবলমাত্র আইন প্রক্রিয়া নয়, স্থানিক পরম্পরা ও গ্রহণযোগ্যতা সামাজিক আচার-ব্যবহারের ক্ষেত্রে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সমগ্র হিন্দু সমাজ আজ এক দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে। কেরলের ক্ষমতসীন বামপন্থী সরকার মাননীয় সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় (সুপ্রিম কোর্ট)-এর সাংবিধানিক বেঞ্চের পবিত্র শবরীমালা মন্দিরে সমস্ত বয়সের মহিলাদের প্রবেশাধিকার নিয়ে রায়ের প্রয়োগের অজুহাতে হিন্দু সমাজের আবেগকে কোনও গুরুত্ব দেয় নাই।
শবরীমালা হলো ভক্ত ও ভগবানের স্বতন্ত্র সম্পর্কের একটি বিশেষ নমুনা। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে সুপ্রিম কোর্ট এ বিষয়ে যে সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন, তাতে তারা বিবেচনায় রাখেননি বহুবছর ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে অনুসৃত ও সমাজের দ্বারা স্বীকৃত একটি পরম্পরার প্রকৃতি ও তার পেছনের যুক্তিটিকে। এই ধর্মীয় ঐতিহ্যের প্রধান বিষয়গুলিকেও বিবেচনায় রাখা হয়নি। মহিলা ভক্তদের আবেগও এখানে ধর্তব্যের মধ্যে আসেনি। সামগ্রিকভাবে বিষয়টি বিবেচনায় না থাকার ফলে স্বতন্ত্র, বৈচিত্র্যময় একটি পরম্পরা যা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে স্থানীয় অধিবাসীদের দ্বারা সংরক্ষিত ও পরিবর্ধিত হয়েছিল তার সমূহ ক্ষতি হয়েছে।
সিপিএমের নেতৃত্বধীন কেরল সরকারের কার্যকলাপ আয়াপ্পা ভক্তদের আবেগকে নানা ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ভক্তদের বিশ্বাস ও আবেগকে আঘাত করার জন্য রাজ্য সরকার পেছনের দরজা দিয়ে নাস্তিক, অতি-বাম মহিলা কর্মীদের মন্দিরে প্রবেশ করানোর চেষ্টা করেছে। এইভাবে সস্তা রাজনৈতিক ফয়দা লাভের আকাঙ্ক্ষায় এবং হিন্দুদের বিরুদ্ধে আদর্শগত যুদ্ধের ক্ষেত্র প্রস্তুত করারও চেষ্টা করেছ সিপিএম। এই কারণেই ভক্তেরা, বিশেষ করে মহিলা ভক্তরা নজিরবিহীন ভাবে লাগাতার আন্দোলনের পথে গিয়েছেন তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস ও স্বাধীনতাকে রক্ষা করবার জন্য।
অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা সমস্ত ভক্তদের সম্মিলিত সংবেদনশীলতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও আস্থা পোষণ করছে এবং তাদের কাছে আবেদন জানাচ্ছে মন্দির-ঐতিহ্যকে বজায় রাখতে তারা যেন নিয়ন্ত্রিত ও সংযত আন্দেলন অব্যাহত রাখেন। প্রতিনিধি সভা কেরল সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছে ভক্তদের বিশ্বাস, আস্থা, আবেগ ও গণতান্ত্রিক অধিকারকে যেন তারা যথোপযুক্ত মর্যাদা দেন এবং তাদের নিজের জনগণের ওপরই হিংসার আশ্রয় না নেন। প্রতিনিধি সভা আশা রাখে যে মহামান্য আদালত সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলি ও অন্যান্য আবেদনও সংবেদনশীলতার সঙ্গে খতিয়ে দেখবেন। অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা দেশবাসীর কাছে আবেদন জানাচ্ছে যে তারা যেন উপযুক্ত সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে ‘শবরীমালা আন্দোলনকে রক্ষা করো’ কর্মপ্রক্রিয়াটিকে সর্বতোভাবে সমর্থন করেন।