অমৃতের বীর সুভাষচন্দ্র #NetajiSubhasChandraBose

দূরেণ হ্যবরং কর্ম বুদ্ধিযোগাদ্ ধনঞ্জয়।
বুদ্ধৌ শরণমন্বিচ্ছ কৃপণাঃ ফলহেতবঃ।।
কর্মজং বুদ্ধিযুক্তা হি ফলং ত্যক্ত্বা মনীষিণঃ।
জন্মবন্ধবিনির্মুক্তাঃ পদং
গচ্ছন্ত্যনাময়ম্।।

১৯৪৩ সালের ২১ শে অক্টোবর ভারতের ইতিহাস একটি উল্লেখযোগ্য দিন। এই দিন নেতাজি প্রতিষ্ঠা করলেন #আজাদহিন্দ_সরকার ― ভারতের স্বাধীনতার সরকার। তারপর ২৩ অক্টোবর যুদ্ধ ঘোষণা করলেন ব্রিটিশ তথা মিত্র শক্তির বিরুদ্ধে।

আন্দামান সেলুলার জেল পরিদর্শন কালে

পৃথিবীব্যাপী তখন দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ চলছে ।তার আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল জলে-স্থলে-অন্তরীক্ষে ।ক্রমশই বেড়ে চলেছে মিত্র শক্তি জোটের দাপট। তাছাড়াও তারা ক্রুর এবং নৃশংস ।যুদ্ধ পরিস্থিতি তখন রীতিমতো জটিল হয়ে উঠেছে।

এদিকে আবার সেই সময় নেতাজির বিরুদ্ধে বিষোদগার করে চলেছে কেউ কেউ । কেউ কেউ বলছেন সুভাষ দেশদ্রোহী ,অপরিণামদর্শী, হিটলার ও তোজোর হাতের পুতুল। আবার অনেকে বলছেন বিশ্বাসঘাতক ….কুইসিলিং।

একদিকে নির্মম নিষ্ঠুর শত্রু ,অপরদিকে চরম বিরোধিতা- এরম এক মারাত্মক পরিস্থিতির মাঝখানে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন নেতাজি আজাদ হিন্দ ফৌজকে সঙ্গে নিয়ে । দুরন্ত ঘূর্ণির মতো ছুটে বেড়াচ্ছেন তিনি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। তার একমাত্র স্বপ্ন হলো দেশের মুক্তি । যেকোনো মূল্যে ভারতবর্ষের স্বাধীনতা অর্জন করতেই হবে। তা না হলে তাঁর স্বপ্নের, সব প্রচেষ্টার এখানেই সমাধি। এই মরণপণ সংগ্রামের সর্বাধিনায়ক নেতাজির তখন যুদ্ধের কথা ছাড়া অন্য কিছু ভাবার সময় নেই ,ভাবা সম্ভব নয় ….

তবুও কিন্তু যুদ্ধের ডামাডোল আর জটিল পরিস্থিতির মধ্যে নেতাজি ভাবতেন অন্য জগতের কথা। নিজের দেশমাতৃকা ভারতবর্ষের মুক্তির কামনা সঙ্গে জেগে উঠত সে দেশে থাকা মানুষদের মঙ্গলের কথা। তাই তিনি প্রায় চলে যেতেন রামকৃষ্ণ মিশনে। সেখানে গিয়ে রুদ্ধদ্বার কক্ষে ধ্যানে বসতেন।

শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব , শ্ৰী শ্ৰী মা সারদা ও স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তি সামনে বসে ঘন্টার পর ঘন্টা তন্ময় হয়ে বসে থাকতেন।

সত্যিই বিস্ময় ! একে বারে বিস্ময়! আজাদ হিন্দ ফৌজ এর সর্বাধিনায়ক তাঁর ফৌজি পোশাক খুলে গেরুয়া কৌপিন ধারণ করে উত্তরীয় গায়ে চাপিয়ে ধ্যানমগ্ন হয়ে যেতেন পার্থিব জগতের সবকিছু ভুলে।

ভাবা যায় না ….সত্যিই ভাবা যায় না ….এ যেন দৈব বলে বলীয়ান এক মহামানব, গীতায় উল্লিখিত সেই আদর্শ পুরুষ, সেই মহানায়ক- যার কাছে জীবন মৃত্যু, সুখ-দুঃখ সবই সমান ।

যদা তে মোহকলিলং
বুদ্ধির্ব্যতিতরিষ্যতি।
তদা গন্তাসি নির্বেদং শ্রোতব্যস্য শ্রুতস্য চ।।
শ্রুতিবিপ্রতিপন্না তে যদা
স্থাস্যতি নিশ্চলা।
সমাধাবচলা বুদ্ধিস্তদা
যোগমবাপ্স্যসি’।।

যুদ্ধংদেহী

আধ্যাত্মিক জগতের এই আকর্ষন তাঁকে প্রায়ই টেনে আনতো রামকৃষ্ণ মিশনের । বিপদের প্রচুর সম্ভাবনা জেনেও নেতাজি সুভাষচন্দ্র দেহরক্ষী ছাড়া কেবল বেরিয়ে পড়তেন ড্রাইভারকে সঙ্গে নিয়ে।

এমনই এক রাত্রির কথা …নেতাজির হেডকোয়ার্টার্স তখন সিঙ্গাপুরে। যুদ্ধ বিধ্বস্ত ব্ল্যাকআউটের রাত্রি ।চারিদিক অন্ধকার। শুধু টিমটিম করে জ্বলছে রাস্তার দু’ধারে ল্যাম্পপোস্টের মুখ ঢাকা বাতিগুলো । মাঝে মাঝে চিৎকার শোনা যাচ্ছে জাপানি সাইরেনের আর গুলি গোলার শব্দ।কখনোবা শোনা যাচ্ছে কার্পেট বোম্বিংএর নিরবচ্ছিন্ন বিস্ফোরণের প্রচন্ড শব্দ।

এমনই এক ভয়াবহ রাত্রির আঁধারে বনেট খোলা একটি গাড়ি রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে।সে অনেক রাত তখন। তিন প্রহর কাটে কাটে…গ্রাম বাংলা হলে হুক্কা হুয়া করে শিয়াল ডাক ছেড়ে যেতে।

বিকল গাড়ির একক আরোহীকে ফেলে ড্রাইভারও কোনো জায়গায় যেতে পারছেন না কোথাও খবর দিতে। এক অদ্ভুত চরম মুহূর্ত। কিংকর্তব্যবিমূঢ় ড্রাইভার তখন এদিক ওদিক তাকাচ্ছেন। এমন সময় মোটরসাইকেলে চেপে এক সর্দারজি সেখানে উপস্থিত হলেন। ড্রাইভারের মনে আশার আলো কিছু জেগে উঠলো । কিন্তু গাড়ি পরীক্ষা করার পর সর্দারজি জানালেন সে গাড়ি আর চলবেনা । সর্দারাজি এও জানান যে তিনি গাড়ির মেকানিক… ড্রাইভার এর মাথায় হাত !এখন উপায় ?

উপায় আর কি ? সারারাত বসে থাকতে হবে ,না হয় পায়ে হেঁটে যেতে হবে ।দুটোর কোনটাই সম্ভব নয়।

গাড়িতে কি আছে? বলে, এগিয়ে যান সর্দারজি। জানলা দিয়ে তাকাতেই চমকে ওঠেন সঙ্গে সঙ্গে। নত হয়ে প্রণাম জানিয়ে বলেন ,” আমি এক্ষুনি ব্যবস্থা করে দিচ্ছি ।” সর্দারজি নিজের গ্যারেজ থেকে গাড়ি নিয়ে আসেন। তারপর নিজেই পৌঁছে দেন নেতাজিকে তাঁর হেডকোয়ার্টার্সে ।রামকৃষ্ণ মিশন থেকে ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটেছিল।এই হলেন সর্বত্যাগী মহানায়ক নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। আধ্যাত্মিক প্রভাবকে তিনি নিজের জীবনে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করেছিলেন ।

এ প্রসঙ্গে আরও একটি ঘটনার উল্লেখ করেছেন তৎকালীন সিঙ্গাপুর রামকৃষ্ণ মিশনের প্রধান স্বামী ভাস্করানন্দের :

সিংহাসন

সিঙ্গাপুরে অবস্থানকালে শ্ৰী শ্ৰী মাতা ঠাকুরানীর জন্মোৎসবে আমন্ত্রিত হয়ে নেতাজি শ্ৰী রামকৃষ্ণ মিশন বাটিতে এসেছিলেন। সেইদিন ঠাকুর ঘরে তিনি প্রায় আধঘন্টা কাল ধ্যানাবিষ্ট হয়ে বসেছিলেন। পরে পূজার প্রসাদ গ্রহণ করে কিছুকাল ধরে আলাপ-আলোচনাদি করেন। প্রায় এক ঘণ্টাকাল এই রূপে অতিবাহিত হবার পর তিনি একখানা #চন্ডী -র জন্য ঔৎসুক্য প্রকাশ করায় ভাস্করানন্দ তাঁকে নিজের চন্ডীটি উপহার দেন।নেতাজি এই উপহার পেয়ে তিনি অতিশয় আনন্দ প্রকাশ করলেন ।

নেতাজি রামকৃষ্ণ মিশনের একজন বড় পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। সিঙ্গাপুরের মিশনের অনাথালয়ের জন্য আবেদন জানালে তিনি বাড়িঘর তৈরি করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট সাহায্য করেছিলেন। বাড়ি নির্মাণের জন্য তিনি সেই সময় হিসেবে প্রায় ৫০ হাজার ডলার দান করেন । আরও ৫০ হাজার ডলার সংগ্রহ করে দিয়েছিলেন ।তিনি স্বয়ং এসে BOYS HOME এর দ্বার উদ্ঘাটন করেছিলেন ।

সুভাষচন্দ্র বোস অনাথালয় ছেলেমেয়েদের জন্য অন্ন বস্ত্রের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। সিঙ্গাপুরের রামকৃষ্ণ মিশনের স্কুলটিকে #ইন্ডিয়ানন্যাশনালস্কুল রূপে পরিণত করা হয়েছিল। এই স্কুলে মিলিটারি ট্রেনিং এর বন্দোবস্ত করা হয় এবং নেতাজি নিজে ছেলেদের Demonstration দেখতে আসতেন । তিনি নিজেই রামকৃষ্ণ মিশনের সভাঘরে একটি সভার ব্যবস্থা করেছিলেন।

নেতাজীর জীবনে আধ্যাত্মিকতা এবং মানব সেবার বিশেষ প্রভাব বিস্তার করেছিল । আধ্যাত্মিকতাকে কাজ হাসিলের অস্ত্র হিসাবে কখনো তিনি ব্যবহার করেন নি ।মুখে এক কাজে আরেক -কোনদিন এই স্বভাব তার ছিল না। তিনি ছিলেন কথায় আর কাজে এক। অনেকের মতে আধ্যাত্মিক প্রভাবের ফলে তার মধ্যে জন্মেছিল বিরাট নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা ।তাই তেজোদীপ্ত পুরুষসিংহ নেতাজী সুভাষ চন্দ্র জ্বলে উঠে বলেছিলেন , “ব্রিটিশ আজ পর্যন্ত এমন কোনো বোমা তৈরি করতে পারেনি যা দিয়ে সুভাষচন্দ্র বসুকে মারতে পারা যায়। ” কথাটা মিথ্যা নয় । সত্যি ব্রিটিশ তা করতে পারেনি । বহুবার তারা নেতাজীকে লক্ষ্য করে বম্বিং করেছে। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে তাদের সব প্রচেষ্টা ।কতবার যে নেতাজির অবধারিত মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে গেছেন তার হিসেব নিকেশ নেই ….আধ্যাত্মিক বলে বলীয়ান না হলে কেউ কি মৃত্যুভয় হীন হয়ে চলতে পারে এভাবে ?

হঠাৎ কোন স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্য সাধনের জন্য নেতাজি আধ্যাত্মিক জগতে প্রবেশ করেননি। এমনকি সাময়িক আকর্ষণের জন্যও নয় । ছেলেবেলা থেকেই আধ্যাত্মিক জীবনের প্রতি ছিল তাঁর প্রবল আকর্ষণ ।

নেতাজির নিজের কথা -” …..এমন একটা আদর্শ তখন আমার প্রয়োজন ছিল, যার ওপর ভিত্তি করে আমার সমস্ত জীবনটাকে গড়ে তুলতে পারব ।সবরকম প্রলোভন তার কাছে তুচ্ছ হয়ে যাবে । এমন একটি আদর্শ খুঁজে বার করা সহজ ছিল না।…

হঠাৎ সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিতভাবে সমস্যার সমাধান খুঁজে পেলাম । আমাদের এক আত্মীয় ( সুহৃদচন্দ্র মিত্র)নতুন কটকে এসেছিলেন । আমাদের বাড়ির কাছেই থাকতেন। একদিন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে তার ঘরে বসে বই ঘাঁটছি…. হঠাৎ নজরে পড়লো স্বামী বিবেকানন্দের বইগুলো ।কয়েক পাতা উল্টে ই বুঝতে পারলাম এই জিনিসই আমি এতদিন ধরে চাইছিলাম। বইগুলো নিয়ে এসে গোগ্রাসে গিলতে লাগলাম। পড়তে পড়তে হৃদয়-মন আচ্ছন্ন হয়ে যেতে লাগল ।প্রধান শিক্ষক মশাই আমার মধ্যে সৌন্দর্যবোধ, নৈতিকতাবোধ জাগিয়ে দিয়েছিলেন, জীবনের নতুন প্রেরণা এনে দিয়েছিলেন …কিন্তু এমন আদর্শের সন্ধান দিতে পারেননি, যা আমার সমগ্র সত্তাকে প্রভাবান্বিত করতে পারে। এই আদর্শের সন্ধান দিয়েছিলেন বিবেকানন্দ।”

বিবেকানন্দের মানসপুত্র ছিলেন সুভাষচন্দ্র বোস । বিবেকানন্দের আদর্শকে সামনে রেখে সারা জীবন এগিয়ে চলেছেন । বীর সন্ন্যাসী বিবেকানন্দের উপদেশ জীবনের ধ্রুব সত্য বলে ক’জন গ্রহণ করেছেন নেতাজির মত ? বিবেকবাণীকে অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলেছেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র। বীর সন্ন্যাসীর অভয়মন্ত্রেই একদিন ভারতের বীরকুলের শিরোভূষণ হয়েছিলেন ।ত্যাগে কর্মে চরিত্রে , পৌরুষে , স্বপ্নে এবং সংগঠন সুভাষচন্দ্র একেশ্বর সূর্য – শানিত তলোয়ারের মতই উজ্জ্বল ….

নেতাজি সুভাষচন্দ্র এবং পুরী মঠের শংকরাচার্য

নেতাজি বলেছিলেন , ” ধর্মচর্চা অর্থাৎ যোগ অভ্যাস এই ধারনা ভুল। আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য জনসেবা অপরিহার্য। স্বামী বিবেকানন্দই সেই ধারণা আমাকে দিয়েছিলেন। তিনিই জনসেবা দিয়ে দেশসেবার আদর্শ প্রচার করেছিলেন। দরিদ্রের মধ্যে দিয়ে ঈশ্বর আমাদের নিকট আসেন। স্বামীজীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আমি দরিদ্র, আর্ত, দুঃস্থ, ভিক্ষুক, সাধু সন্ন্যাসী সকলের সঙ্গে অত্যন্ত অন্তরঙ্গ হবার চেষ্টা করতাম। এঁদের যথাসাধ্য দান করে আমি আনন্দ পেতাম।

তখনও আমার ষোলো পূর্ন হয় নাই। সেই প্রথম পল্লী সংস্কারের অভিজ্ঞতা হল। কটকের প্রান্তে একটি গ্রামে দল বেঁধে গিয়ে পল্লী সংস্কারের কাজ শুরু করলাম।গ্রামের একটি স্কুলে ঢুকে কিছু শিক্ষকতা করা গেল। সবাই আমাদের অভিনন্দন জানালেন। আমরা খুব উৎসাহ পেলাম।”

ছেলেবেলা থেকে জনসেবা এবং দেশসেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন সুভাষচন্দ্র বোস। তাই তাঁর নিকয় জন্মভূমি স্বর্গের থেকেও প্রিয় ছিল। সেই দেশমাতৃকার মুক্তির নিমিত্ত তিনি দুর্গম গিরি, কান্তার, মরুকে অবলীলায় পার করেছিলেন।

আধ্যাত্মিক আকর্ষনেই কৈশোর ও যৌবনের সন্ধিক্ষণে একদিন গৃহ ত্যাগ করে বেরিয়ে পড়েছিলেন সুভাষচন্দ্র। পরিদর্শন করেছিলেন ভারতের তীর্থস্থান গুলি। ছুটে গেছিলেন আশ্রম মঠে। সন্ন্যাসী সঙ্গ করেছিলেন।

প্রথম স্বাধীন ভারতের প্রথম মহারাজ

একসাধু মাটির তলায় থাকতেন। সেখানে সুভাষ গিয়েও কিছু জানবার আশায় পড়ে থাকতেন। সুভাষের চোখে তিনি কর্মসন্ন্যাস যোগ দেখলেন। তাই সংসার ত্যাগের মতলব ছাড়িয়ে তিনি সুভাষকে গৃহে পাঠালেন। তবে সুভাষ গৃহত্যাগী কর্ম সন্ন্যাস বীরই হয়েছিলেন।

এলগিন রোডের বাড়িতে অন্তরীণ থাকার সময় সুভাষ নিয়মিত গীতা পাঠ করতেন। তাঁর সঙ্গে সর্বদা থাকত পকেট একখানি এডিসন গীতা এবং রুদ্রাক্ষের জপমালা। যুদ্ধের চরম মুহূর্তেও তিনি কখনো ভুলে যেতেন না এই দুইটি জিনিসকে নিজের কাছে রাখতে। এই আধ্যাত্মিক প্রেরনাই সুভাষকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস হতে বিশেষ সাহায্য করেছিল। তিনি তাই বাস্তবের পৃথিবীতে লৌকিক থেকেও আমাদের নিকট অমর, অজেয় ,অমৃতের সন্তান হয়ে আছেন।

ন জায়তে ম্রিয়তে বা কদাচিৎ
ন অয়ম্ ভূত্বা ভবিতা বা ন ভূয়ঃ
অজঃ নিত্যঃ শাশ্বতঃ অয়ম্ পুরাণঃ
ন হন্যতে হন্যমানে শরীরে ॥

দুর্গেশনন্দিনী

তথ্যঃ ১.ভারত পথিক সুভাষচন্দ্র বসু
২.স্মরণে মননে সুভাষচন্দ্র

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.