শহরে আরও খানিকটা নামল পারদ। বুধবার সকালে আরও ০.৪ ডিগ্রি নেমেছে কলকাতার পারদ। হাওয়া অফিস আগেই পূর্বাভাস দিয়েছিল দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলাতেই ২ থেকে ৩ ডিগ্রি অবধি নামতে পারে তাপমাত্রা। সেই পূর্বাভাস মেনেই মঙ্গলবার সকালেই কলকাতার পারদ নেমে আসে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আজ আরও কিছুটা নেমেছে পারদ
মাঘের শুরুতে পারদ বাড়তে থাকলেও ফের রাজ্যে থিতু হল শীত। দক্ষিণবঙ্গ ও কলকাতাবাসীর জন্য যা সুখবর বলা যেতেই পারে। সকাল থেকেই অনুভূত হচ্ছে করবে শীতের হিমেল পরশ। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস আগামী দুই থেকে তিন দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা নীচের দিকেই থাকবে। আজ মঙ্গলবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি কম।
বুধবার তা আরও কিছুটা কমে হয়েছে ১৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি কম। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৪.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি কম। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সোমবার দুপুর থেকেই নামতে শুরু করে। উত্তুরে হাওয়া জায়গা পেতেই রাতে সেই পারদ আরও নামে। ফলে বুধবার সকালেও উপস্থিত শীত। আজ সকালে শহরের বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৪৪ থেকে ৯৬ শতাংশের মধ্যে রয়েছে।
গত সপ্তাহের শেষের দিকে বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছিল তাপমাত্রা। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে তাপমাত্রার পারদ বৃদ্ধির ফলে উত্তরের হাওয়া প্রবেশ করতে পারছিল না। দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য প্রান্তেই মঙ্গলবার থেকে ব্যাপক পারদ পতন হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বাঁকুড়া, বর্ধমান , ব্যরাকপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ১১.৬, ১১.৭, ১০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কাঁথি ডায়মন্ড হারবার ও দীঘায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮.২, ১.৩.৪ ও ১৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পানাগড় , পুরুলিয়া ও শ্রীনিকেতনে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ৯.৪, ৯.০ ও ৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া দফতরের এও জানাচ্ছে, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে বৃষ্টি এবং তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে জম্মু কাশ্মীর হিমাচল প্রদেশ উত্তরাখন্ডে। এর জন্য আগামী কয়েকদিন ঘন কুয়াশার দাপট থাকবে উত্তরবঙ্গেঢ় জেলাগুলিতে। একইসঙ্গে দক্ষিণবঙ্গেও থাকবে মাঝারি থেকে বিক্ষিপ্ত কুয়াশার প্রভাব। জম্মু-কাশ্মীরে আজ ঢুকছে আরও একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। এর প্রভাবে ফের চড়তে পারে পারদ।