ইতিহাস গড়তে চলেছে বায়ুসেনা, সুপারসনিক মিসাইল ব্রহ্মস’কে নিয়ে উড়বে সুখোই-৩০

প্রতিরক্ষায় ইতিহাস গড়তে চলেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। সুখোই-৩০ মাল্টিরোল কমব্যাট এয়ারক্রাফ্টের প্রথম স্কোয়াড্রন বসল তামিলনাড়ুর থাঞ্জাভুর জেলায়। সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল ব্রহ্মস নিয়ে এবার ডানা মেলতে পারবে বায়ুসেনার এই ব্রহ্মাস্ত্র।

ভারত মহাসাগরে বাড়তে থাকা চিনা আধিপত্য বায়ুসেনার চিন্তার কারণ। সেই জন্য দক্ষিণ ভারতে অত্যাধুনিক সুখোই-৩০ এমকেআই ফাইটার জেটের স্কোয়াড্রনের দাবি জানানো হয়েছিল দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে। সোমবার থাঞ্জাভুর বায়ুসেনা ঘাঁটিতে ২২২ ‘টাইগারশার্ক’ স্কোয়াড্রনের উদ্বোধন করেন চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত, এয়ার চিফ মার্শাল আরকেএস ভাদুরিয়া ও ডিআরডিও চেয়ারম্যান জি সতীশ রেড্ডি।

সাদার্ন এয়ার কম্যান্ডের এয়ার অফিসার কম্যান্ডিং-ইন চিফ অমিত তিওয়ারি বলেছেন, প্রাথমিকভাবে ছ’টি এয়ারক্রাফ্ট নিয়ে পথ চলা শুরু হল এই স্কোয়াড্রনের। চলতি বছর শেষের দিকে আরও ১৮টি সুখোই-৩০ এমকেআই ফাইটার জেট চলে আসবে এই স্কোয়াড্রনে। এয়ার মার্শালের কথায়, “ভারত মহাসাগরে চিনা জাহাজের উপর নজর রাখতে এবং যে কোনও কঠিন পরিস্থিতিতে দ্রুত আঘাত হানতে সুখোইয়ের কোনও বিকল্প নেই। ব্রাহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে সক্ষম হওয়ায় এটি ভারতীয় বায়ুসেনার অন্যতম বড় স্তম্ভ হয়ে উঠেছে।”

প্রথম স্কোয়াড্রনটি ভারত মহাসাগর অঞ্চলে (আইওআর) চিনের ক্রমবর্ধমান দাপটকে কায়েম করে ভারতকে শক্তিশালী করবে বলেই মনে করা হচ্ছে। ড্রাগন দেশের নিজেদের সেনাঘাঁটি রয়েছে হর্ন অফ আফ্রিকার দিবুটি’তে। যতদিন যাচ্ছে তাদের বিস্তার ঘটানোর চেষ্টা করছে।

বিপিন রাওয়াত আরও বলেন, “প্রত্যেক দেশই নিজেদের সুরক্ষাব্যবস্থাকে কৌশলী দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই বিচার করে থাকেন। মহাসাগর ঘুরে বেড়ানোর স্বাধীনতা থেকেই তৈরি। সুতরাং যখনই কোনদেশ নির্দিষ্ট কোনও জায়গা নিয়ে আগ্রহপ্রকাশ করে তখনই তাঁরা স্বাভাবিকভাবেই সেই অঞ্চলে আরও দ্রুত আধিপত্য বিস্তারের জন্য আসে এবং নৌ-বিদ্যাকে ধারালো করে”।

জলপথে ব্যবসায় চিন কতটা হুমকই হিসেবে কাজ করছে তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে অস্বীকার করে তিনি বলেছেন, “আমার মনে হয় না বিষয়টিকে বিশেষভাবে এই দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখার প্রয়োজন আছে”।

মার্চেন্ট সিপ প্রসঙ্গে কথা উঠলে বিপিন রাওয়াত স্পষ্ট বলেন পাইরেসির জন্য মার্চেন্ট সিপ যাতায়াতে বিঘ্ন ঘটতে পারে। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এয়ার চিফ মার্শাল আরকেএস ভাদুরিয়া ও ডিআরডিও চেয়ারম্যান জি সতীশ রেড্ডি।

ভারত মহাসাগরে বাড়তে থাকা চিনা আধিপত্য বায়ুসেনার চিন্তার কারণ। সেই জন্য দক্ষিণ ভারতে অত্যাধুনিক সুখোই-৩০ এমকেআই ফাইটার জেটের স্কোয়াড্রনের দাবি জানানো হয়েছিল দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.