NPR তো করতেই হবে, বৈঠকে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা কংগ্রেসশাসিত রাজ্য ও কেরলের

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছিলেন এনপিআর বৈঠকে থাকবে না পশ্চিমবঙ্গ। বাংলার মতো কেরলেও স্থগিত রাখা হয়েছে NPR। কিন্তু মুখে বিরোধিতা করলেও  বৈঠকে হাজির থাকল পিনারাই বিজয়নের রাজ্য। নয়াদিল্লিতে আজ, শুক্রবার এনপিআর বৈঠকে অনুপস্থিত শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ।    

এনআরসি ও সিএএ-র সঙ্গে এনপিআরের বিরুদ্ধেও সোচ্চার হয়েছিল বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য ছিল, এনপিআরের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। পরে সেই তথ্য কাজে লাগানো হবে নাগরিকপঞ্জিতে। কেরল ও পশ্চিমবঙ্গে স্থগিত করে দেওয়া হয় এনপিআর। বুধবারই এনপিআর চালু করা নিয়ে নতুন করে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সমস্ত রাজ্য। তার মধ্যে কংগ্রেসশাসিত রাজ্যগুলিও রয়েছে। কিন্তু অনড় থেকেছে পশ্চিমবঙ্গ ও কেরল। ওইদিনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, দিল্লিতে NPR বৈঠকে থাকবে না বাংলা। সেই মতো এদিন বৈঠকে নেই পশ্চিমবঙ্গের কোনও প্রতিনিধি।

বৃহস্পতিবার মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা দিল্লি উড়ে যাওয়ায় তৈরি হয়েছিল জল্পনা। সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম অভিযোগ করেছিলেন, চুপিসারে এনপিআর বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছেন রাজ্যের একাধিক আমলা। কিন্তু বৈঠকে দেখা গেল, বামশাসিত কেরলই হাজির হয়ে গিয়েছে। বৈঠকে থাকার কথা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন  কেরলের মুখ্যসচিব কেআর জ্যোতিলাল।

বিরোধিতা করেও কেন বৈঠকে হাজির থাকল অবিজেপি রাজ্যগুলি? বিরোধীদের যুক্তি, এনআরসি অসমের জন্য। এনপিআর চলমান প্রক্রিয়া। ১০ বছর অন্তর অন্তর হওয়ার কথা। ইউপিএ জমানায় ২০১০ সালে হয়েছে। পরে সংশোধন করা হয়েছে ২০১৫ সালে। জনগণনা করতেই হবে। এনপিআরের বিরোধিতা করছে না কেউ। কিন্তু এনপিআর-র মাধ্যমে তথ্য নিয়ে তৈরি হবে তথ্যপঞ্জি। সেটা ব্যবহার করে এনআরসি করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। সরকারের আসল উদ্দেশ্যটা ধরতে হবে।

অনেকের মতে, সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ হলে মুখ লুকানোর জায়গা থাকবে না। সে কারণে বৈঠকেই যাবতীয় সংশয় দূর করতে চাইছে বিরোধীরা।  



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.