কেরলের মুখ্য চার্চের কল্যাণে একবার ফের শিরোনামে এল লাভ জেহাদের ঘটনা। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির অভিযোগেই সিলমোহর দিয়ে কেরলের মুখ্য চার্চের সংগঠন শিরো মালাবার সিন্ড এনেছে লাভ জেহাদের বিস্ফোরক অভিযোগ। রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধেও তারা লাভ ঘটনাগুলিকে দেখেও না দেখার ভান করার অভিযোগ এনেছে কেরল অবস্থিত যাজকদের সর্বোচ্চ এই সংগঠন। মঙ্গলবার সিরো মালাবার মিডিয়া কমিশনের মাধ্যমে তারা প্রকাশ্যে আনে ব্যপারটি। তাদের অভিযোগ, রাজ্যে লাভ জেহাদের কারণে খ্রীষ্টান মেয়েদের মেরে ফেলার ঘটনা ঘটছে ।
এদিন নাইজেরিয়ায় খ্রীষ্টান গণহত্যার তীব্র নিন্দা করে তারা বলে, কেরলে বারবার ঘটছে লাভ জেহাদের ঘটনা। খ্রীষ্টান মেয়েদের বিরুদ্ধে সংগঠিতভাবে ঘটছে এই ঘটনা। তারা কেরলের বাম সরকারের বিরুদ্ধেও বিষোদগার করে। অভিযোগ একটি আদ্যন্ত ধর্মীয় বিষয়কে ধর্মীয়ভাবে না দেখে বারবার আইনশৃঙ্খলার সমস্যা বলে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে না পিনারাই বিজয়নের সরকার ।
রাজ্যের মহিলা কমিশন বিষয়টিকে সংবেদনশীল বলে এড়িয়ে গেছে। পুলিশের তরফেও মেলেনি কোনো প্রতিক্রিয়া। সিনডের বক্তব্য তারা অন্তত ২১ টি ধর্মান্তরণের বিষয় নজরে এনেছে যার বেশিরভাগই খ্রীষ্টান থেকে ধর্মান্তিরত হয়ে মুসলিম হওয়া মেয়ে। যাদের লাভ জেহাদের মাধ্যমে জঙ্গী গোষ্ঠী আইএসআইসের সদস্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ ।
চার্চের বক্তব্যকে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ স্বাগত জানিয়ে একসাথে হিন্দু এবং খ্রীষ্টানদের একজোট হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। অন্যদিকে ইসলামী সংগঠন পিএফআই বিরোধ করেছে চার্চের। তাদের বক্তব্য চার্চের বক্তব্যের জন্য গোটা দেশে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে হওয়া ঐক্য ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সংখ্যালঘু কমিশন অবশ্য গত বছর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখে বিষয়টি জানিয়েছিল। তাদের মতে ২০০৫-১২ এর মধ্যে প্রায় তার হাজার খ্রীস্টান মেয়েদের ধর্মান্তরণ করে মুসলিম বানানো হয়েছিল। তারা মনে করে, খ্রীষ্ট ধর্মাবলম্বীরা লাভ জেহাদের সফ্ট টার্গেট ।