পুলওয়ামার জঙ্গি হামলার পরেই জম্মু কাশ্মীরের ডজনখানেক বিচ্ছিন্নতবাদী নেতার নিরাপত্তা ব্যবস্থা সরিয়ে নিয়েছিল কেন্দ্র। গ্রেফতারও করা হয়েছিল একাধিক নেতাকে। এ বার বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিকের নেতৃত্বাধীন জম্মু কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্ট ( জেকেএলএফ )-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল কেন্দ্র। কেন্দ্রের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে এ কথা জানানো হয়েছে। সন্ত্রাস দমন আইনের আওতায় এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিকের এই সংগঠন কাশ্মীরে বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী কাজে ইন্ধন যোগাচ্ছিল। ইয়াসিন মালিক জেলে বন্দি থাকা সত্বেও তাঁর সংগঠনের কাজকর্ম একই রকম রয়েছে। এই অবস্থায় এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা না করলে তা কাশ্মীরের শান্তি বিঘ্নিত করতে পারে। তাই বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনের ( ইউএপিএ ) বিভিন্ন ধারায় জেকেএলএফ-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি জারি করা হয়। এই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জেকেএলএফ বিভিন্ন ধরণের দেশ বিরোধী কাজে লিপ্ত ছিল। ইয়াসিন মালিকের গ্রেফতারির পরেও নিজের কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল সংগঠনের কর্মীরা। কাশ্মীরের ও পাকিস্তানের বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে তাদের যোগ ছিল বলেও জানা গিয়েছে। বাইরের জঙ্গি সংগঠনকে বিভিন্ন ধরণের নাশকতামূলক কাজের জন্য সাহায্য করত জম্মু কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্ট। উপত্যকায় সন্ত্রাস ও অশান্তি সৃষ্টি করতে অন্যতম বড় ভূমিকা ছিল এই জেকেএলএফ-এর। আর তাই এই ধরণের সংগঠনকে নিষিদ্ধ না করলে তা কাশ্মীরের সুরক্ষার ক্ষেত্রে সমস্যা হত বলেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে।
পুলওয়ামা হামলার পরেই উঠেপড়ে লেগেছে পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষীরা। প্রথমে জম্মু-কাশ্মীরের প্রায় সব বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের গ্রেফতার করা হয়। তারপর তাঁদের সংগঠনগুলিকে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। এই মাসে এই নিয়ে দুটি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো। এর আগে ‘জামাত ই ইসলামি জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর’ সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এই সংগঠনের নেতা আবদুল হামিদ ফায়াজ এই মুহূর্তে জেলে বন্দি। জম্মুর কোট বলওয়াল জেলে বন্দি রয়েছেন ইয়াসিন মালিকও।