যাদবপুরের হালতুতে পথসভা করতে পুলিশকে জানানোর পরও পথসভা করতে বাধা দেওয়া হয়েছে,বলা হয়েছে স্থানীয় মসজিদের ইমাম সাহেবের অনুমতি লাগবে! জানা গিয়েছে গত শুক্রবার যাদবপুরের হালতুতে একটি পথসভা করছিলেন স্থানীয় বিজেপির কর্মীরা। অভিযোগ, ওই সময় কসবা থানার পুলিশের সামনের একটি মসজিদের নামাজ পড়ায় সমস্যার কথা উল্লেখ করে তাঁদের সভা বন্ধ করতে বলে। যদিও কসবা থানায় এবিষয়ে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি।
বিজেপির রাজ্য সম্পাদিকা শর্বরী মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ করে বলেন,‘ আমরা হালতুর ওই মসজিদের সামনের বড় রাস্তায় পথসভা করছিলাম। এই সময় পতাকা লাগানো নিয়ে তৃণমূলের কর্মীদের সঙ্গে আমাদের বচসা হয়। কসবা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে এবং বলে, ইমাম সাহেব আসলে তার সঙ্গে কথা বলার পর সভা শুরু করা যাবে। তখন বলি যদি আমরা সভা করতে না পারি তাহলে সারারাত ধরনায় বসব। তখন ওনারা ইমাম সাহেবের সঙ্গে কথা বলতে যান মসজিদে। ফিরে এসে জানান নমাজ পড়া হয়ে গেলে তারপর সভা করুন। আমি বলি, আমরা নমাজ চলাকালীন সভা বন্ধ রাখব। আমরা সব জায়গায় এটা করি। তাই করব। কিন্তু এখন সভা করব। বলে আমরা সভা শুরু করেদি।’
শর্বরী মুখোপাধ্যায় আরও বলেন,‘ আমরা কিন্তু সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সভা বন্ধ করে দিই নমাজ শুরু হলেই। তারপর ঘড়ি ধরে ৩০ মিনিট সভা বন্ধ রেখে আবার নমাজ শেষ হলে সভা শুরু করি। আমরা প্রশ্ন হচ্ছে সবাই সভা করে ওই জায়গায় কিন্তু আমাদের পুলিশকে সভা করার কথা আগেই জানানো ছিল। কিন্তু ইমাম সাহেবের অনুমতি কেন লাগবে?’
বিষয়টি নিয়ে শিক্ষাবিদ কাজি মাসুম আখতার বলেন,‘ প্রতি শুক্রবার দুপুরে জোহরের নমাজকে জুম্মার নমাজ বলা হয়। ইসলামে তাই বলা আছে। এই একঘণ্টা সময়ে নমাজিদের অসুবিধা হতে পারে ভেবেই মানবিক কারণেই কোনও অনুষ্টান হলে তা বন্ধ রাখা হয়। তার সঙ্গে সন্ধ্যার নমাজের কোনও সর্ম্পক নেই। আর তাকে জুম্মার নমাজ বলা হয় না। অনান্য দিন নমাজ পড়ার সময় রাজনৈতিক দলগুলি মানবিক কারণে কোন সভা করলে ওই সময়টুকু বন্ধ রাখেন কর্মসূচি। তাই বলে জুম্মার দিন সব অনুষ্টান বন্ধ রাখার কথা বলা যায় না।’
স্থানীয় বাসিন্দা এবং কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী কুন্তল মজুমদার বলেন,‘ মসজিদের এলাকার মধ্যে কোনও সভা হচ্ছিল না। তাই এবিষয়ে ইমামের কোনও এক্তিয়ার আছে বলে আমি মনে করি না। ওখানে সব রাজনৈতিক দল সভা করে আমি ছোট থেকে দেখে আসছি। পুলিশের অনুমতি থাকলে সভা যে কেউ করতে পারেন।