হাসপাতাল চত্বরে জমা বর্জ্যে প্রাণ ওষ্ঠাগত অঞ্চলের মানুষ,মৌখিক আশ্বাসই সার প্রশাসনের

রাজ্য সরকারের একাধিক স্কিম | সবই রাজ্যের মানুষকে উন্নত পরিষেবা দেওয়ার জন্য | রাজ্য সরকার রাজ্যবাসীদের ভালো রাখার প্রতি এতটাই আত্মবিশ্বাসী যে, কেন্দ্রীয় সরকারের আয়ুষ্মান ভারত-এর মত কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলিকে রূপায়ণে প্রবল আপত্তি তাদের | অবশ্য সদ্য সফর শেষে ফিরে যাওয়া প্রধানমন্ত্রী অবশ্য এর অন্য কারণ বাতলেছেন | বলেছেন , কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলিতে কাটমানি নেই বলেই নাকি রাজ্যের এত অনীহা | তা সে যাই হোক এর মাঝে পড়ে কিন্তু কালিয়াগঞ্জের কুনোর হাসপাতালের চারিপাশের বাসিন্দাদের প্রাণ ওষ্ঠাগত |

তার টের পাওয়া যায় হাসপাতালে ঢোকার মুখেই | হাসপাতাল ময়দানের একাংশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রোগী ও প্রসূতির বর্জ্য। তাতে মুখ দিচ্ছে পাখি ও কুকুর । পাখিদের মুখে মুখে সেই বজ্য ছড়িয়ে পড়ছে আশপাশের এলাকায় । এই ছবি উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের কুনোর হাসপাতালের । ৩০ শয্যার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র কুনোর হাসপাতাল ময়দানের পুর্ব প্রান্তে আমগাছের কাছে প্লাস্টিক মোরা বর্জ্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে | ক্যামেরায় ধরা পড়ে সেই ছবি | বাসিন্দারা জানাচ্ছেন এদিন প্রথম নয়, হামেশাই এমন ভাবে প্রকাশ্য ময়দানে ফেলা হচ্ছে হাসপাতালের বর্জ্য বলে অভিযোগ স্হানীয়দের। হাসপাতালের এই বর্জ্য থেকে দুষণ ছড়ানোর আশঙ্কা প্রকাশ করে স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত এ ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহনের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন ।

হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা সুদীপ রায় বলেন এই বজ্য থেকে প্রচন্ড দুর্গন্ধ বেড় হয়। আশপাশের বাসিন্দা থেকে হাসপাতালে আসা মানুষ সকলের সমস্যা হয়। হাসপাতাল নিজেদের জমিতে নোংরা ফেলছে। তাই প্রতিবাদ জানাতে পারছিনা। কুনোর হাটপাড়ার বাসিন্দা গণেশ সর্দার বলেন আগে এসব ফেলা হল হাসপাতালের পিছনে গর্ত করে। ইদানীং সামনে গর্ত করে ফেলা হচ্ছিল। সেই গর্ত ভরে গিয়েছে। তাই মাঠের উপরে চলে আসছে এই বর্জ্য। এতে মারাত্মক দুষণের সম্ভাবনা আছে। হাসপাতালের ডাক্তারবাবুরা সেটা জানে। তা সত্বেও কেন এভাবে রোগীর বর্জ্য ফেলা হচ্ছে, তা ভগবান জানে ।

এদিন বর্জ্য প্রসঙ্গে কালিয়াগঞ্জের বিএমওএইচ সন্দীপ বাগ বলেন এমন হওয়ার কথা নয়। ঘটনা খতিয়ে দেখে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আশ্বাস বিএমওএইচের । কুনোর হাসপাতাল ময়দানের একাংশে প্রকাশ্য রোগীর বর্জ্য ফেলার অভিযোগ নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কালিয়াগঞ্জ রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান কার্তিক পাল বলেন এমন হওয়া উচিত নয়। বিএমওএইচের সঙ্গে কথা বলে এই সমস্যা দূর করা হবে আশ্বাস আরকেএস চেয়ারম্যানের ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.