রেয়ার আর্থ পার্মানেন্ট ম্যাগনেট তথা বিরল খনিজ উৎপাদনে দেশকে আত্মনির্ভর করার লক্ষ্যে বড় পদক্ষেপ করল মোদী সরকার। বুধবার ৭২০০ কোটি টাকার এই প্রকল্পের ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্র। এর ফলে চীনা আমদানির উপর নির্ভরতা অনেকটা কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই খনিজ বৈদ্যুতিক বাহন, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি, ইলেকট্রনিক্স, বিমান পরিষেবা, প্রতিরক্ষা ইত্যাদি খাতে ব্যবহৃত হয়।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেছেন, এই প্রকল্পে বিরল খনিজ উৎপাদনে উৎসাহিত করবে। লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে বছরে ৬০০০ ম্যাট্রিক টন। একই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, সব মিলিয়ে ৭ হাজার ২৮০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে। বছরে ১২০০ মেট্রিক টন রেয়ার আর্থ পার্মানেন্ট ম্যাগনেট তৈরির জন্য। তৈরি করা হবে পাঁচটি ইউনিট।
সূত্রের খবর, আগামী পাঁচ বছরে বিরল খনিজের চাহিদা দ্বিগুণ হওয়ার কথা। এদিকে কেন্দ্র আপাতত সাত বছরের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছে। এর মধ্যে বছর দু’য়েক সময় নির্মাণকেন্দ্র তৈরি করতে লাগবে। তারপরই শুরু হয়ে যাবে উৎপাদন। মনে করা হচ্ছে চাহিদা বাড়লে সেইমত যোগান দেওয়া সমস্যা হবে না। সব মিলিয়ে এর জন্য দরকার পড়বে ৭২৮০ কোটি টাকা।
উল্লেখ্য, বর্তমানে ভারতে প্রতিবছর প্রায় চার হাজার থেকে পাঁচ হাজার এমটিপিএ প্রয়োজন। তবে কিছু দেশ যখন এই খাতে বিনিয়োগ কমিয়ে দিচ্ছে তখন কেন ভারত পদক্ষেপ করল? এই প্রশ্নের উত্তরে অশ্বিনী বলেছেন, এই মুহূর্তে এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, আর ভারতকে আত্মনির্ভরশীল করে তোলার লক্ষ্যে বিশেষ মনোনিবেশ করতো চায় ভারত। আনুমানিক ৬.৯ মিলিয়ন টন এমটিপি মজুদ রয়েছে দেশে।

